হোম > বিশ্ব > যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা

আদালতের আদেশ মানলেন না ট্রাম্প, দুই শতাধিক ভেনেজুয়েলানকে পাঠালেন এল সালভাদরে

অনলাইন ডেস্ক

ছবি: সংগৃহীত

মার্কিন একটি আদালত কয়েক ঘণ্টা আগেই জোর করে অবৈধ অভিবাসীদের নির্বাসন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু এর পরেও ২০০-এর বেশি ভেনেজুয়েলান নাগরিককে এল সালভাদরে পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলে জানিয়েছেন, স্থানীয় সময় রোববার সকালে একটি সামরিক বিমান তাঁর দেশে অবতরণ করে। এই বিমানে ২৩৮ জন ভেনেজুয়েলার কুখ্যাত গ্যাং ‘ত্রেন দে আরাগুয়া’র সদস্য এবং ২৩ জন আন্তর্জাতিক গ্যাং এমএস—১৩এর সদস্য ছিল।

ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপের আগে ফেডারেল বিচারক জেমস বোয়াসবার্গ ১৭৯৮ সালের ‘অ্যালিয়েন এনিমিস অ্যাক্ট’ ব্যবহারের মাধ্যমে নির্বাসন কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে এরপরও ওই ব্যক্তিদের বহনকারী বিমান উড়াল দেয় এবং এল সালভাদরে অবতরণ করে। এ নিয়ে ব্যঙ্গ করে বুকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লিখেছেন, ‘ওপস... আমার অনেক দেরি হয়ে গেছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এই নির্বাসন চুক্তিকে ‘বিশ্বের সবচেয়ে নজিরবিহীন এবং ব্যতিক্রমী অভিবাসন ব্যবস্থা’ বলে উল্লেখ করেছেন।

এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলে জানিয়েছেন, আটক ব্যক্তিদের এক বছরের জন্য এল সালভাদরের সন্ত্রাসবিরোধী বন্দিশিবির সিইসিওটিতে রাখা হবে। তবে পরবর্তীতে এই সময় বাড়ানো হতে পারে। তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এদের জন্য খুব সামান্য পরিমাণ অর্থ দেবে, তবে আমাদের জন্য এর মূল্য অনেক বেশি।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও নির্বাসিত গ্যাং সদস্যদের এল সালভাদরে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলের প্রশংসা করে বলেন, ‘তিনি আমাদের অঞ্চলের সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা।’

এর আগে, বিচারক বোয়াসবার্গ ট্রাম্প প্রশাসনের নির্বাসন নীতি বন্ধের আদেশ দিয়েছিলেন। তবে ট্রাম্প প্রশাসন তার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন অব্যাহত রাখে।

ভেনেজুয়েলা এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছে এবং বলেছে, ‘এই যুদ্ধকালীন আইন প্রয়োগ অভিবাসীদের অপরাধী হিসেবে চিত্রিত করছে।’

এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নায়িব বুকেলের পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, হাত ও পা শিকল দিয়ে বাঁধা অবস্থায় সশস্ত্র কর্মকর্তারা বিমান থেকে নামানো বন্দিদের নিয়ে যাচ্ছেন। কিছু বন্দিকে সাঁজোয়া গাড়িতে তোলা হয়, অন্যদের মাথা নিচু করে বাসে উঠতে বাধ্য করা হয়।

ভিডিওতে এল সালভাদরের আলোচিত মেগা-জেল সিইসিওটির ভেতরে বন্দিদের নিয়ে যাওয়ার দৃশ্যও দেখানো হয়েছে। প্রায় ৪০ হাজার বন্দি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এই উচ্চ-নিরাপত্তার কারাগার বুকেলের অপরাধ দমন পরিকল্পনার অন্যতম অংশ। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো এটিকে বন্দিদের অমানবিক নির্যাতনের কেন্দ্র হিসেবে বর্ণনা করেছে।

এই নির্বাসন চুক্তিকে যুক্তরাষ্ট্র ও এল সালভাদরের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নতির ইঙ্গিত হিসেবে দেখা হচ্ছে। মার্কো রুবিও বুকেলেকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, ‘আপনার সহযোগিতা ও বন্ধুত্বের জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর এল সালভাদর ছিল রুবিওর দ্বিতীয় সফরস্থল। ফেব্রুয়ারিতে তিনি সেখানে গিয়ে বুকেলের সঙ্গে আলোচনায় নির্বাসিত বন্দিদের গ্রহণের বিষয়টি চূড়ান্ত করেন।

ভারতে আওরঙ্গজেবের সমাধি অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ, বাড়ছে উত্তেজনা

এক ইউরোতে বাড়ি বিক্রির নতুন ঘোষণা দিল ইতালির পেন্নে শহর

ভারতে বসেছে বিশ্বের গোয়েন্দাপ্রধানদের আসর, কী হচ্ছে সেখানে

ট্রাম্পের ট্রুথ সোশ্যালে অ্যাকাউন্ট খুলে কী দেখলেন মোদি

ক্যানসার চিকিৎসায় যুগান্তকারী এক পদ্ধতি আবিষ্কার চীনা বিজ্ঞানীদের

অ্যান্টার্কটিকায় একটি গবেষক দলের মধ্যে মারামারি

হারানো শহর ফিরে পেতে মরিয়া মিয়ানমারের চিন রাজ্যের বিদ্রোহীরা

ব্রাজিলে বাদুড়ের শরীরে নতুন করোনা ভাইরাস আবিষ্কার, ঝুঁকি এখনো অজানা

রাশিয়ার কুরস্ক থেকে রাতের আঁধারে যে কৌশলে পালাচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা

পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপের সময় জানালেন ট্রাম্প