২০২৪ সালের এপ্রিল মাসেও বিমান শিল্প তার ঊর্ধ্বমুখী গতি অব্যাহত রেখেছে। এ মাসেও বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দর হিসেবে নিজ অবস্থান বজায় রেখেছে আটলান্টা হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (এটিএল)। দ্য অফিশিয়াল অ্যাভিয়েশন গাইড অব দ্য এয়ারওয়েজের প্রতিবেদনে অন্যান্য যেসব বিমানবন্দর বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দরের তালিকায় নাম লিখিয়েছে সেসব সম্পর্কে বলা হয়েছে। বিমানবন্দরগুলো সম্পর্কে জানা যাক।
আটলান্টা হার্টসফিল্ড-জ্যাকসন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (এটিএল) ব্যস্ততম বৈশ্বিক বিমানবন্দর হিসেবে তার মুকুট ধরে রেখেছে। ২০২৪ সালের এপ্রিলে প্রায় ৫২ লাখ আসন পরিবেশন করেছে বিমানবন্দরটি। আগের মাসের চেয়ে এপ্রিলে বিমানবন্দরটিতে যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে ৩ শতাংশ। ডেল্টা এয়ারলাইনসের অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হিসেবে এটিএল বিশ্বব্যাপী যাত্রীদের যাতায়াত নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ডেলটা এয়ারলাইনস ছাড়াও বিমানবন্দরটিতে আরও যেসব উল্লেখযোগ্য এয়ারলাইনস রয়েছে সেসব হলো—সাউথওয়েস্ট এয়ারলাইনস, ইউনাইটেড এয়ারলাইনস, আমেরিকান এয়ারলাইনস, ফ্রন্টিয়ার এয়ারলাইনস এবং স্পিরিট এয়ারলাইনস।
এই তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে আছে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট। শুধুমাত্র এপ্রিল মাসেই প্রায় ৪৯ লাখ আসন পরিবেশন করেছে এই বিমানবন্দর। আকাশপথে যাতায়াতের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু এই বিমানবন্দরে আগের মাসের চেয়ে এপ্রিলে যাত্রীসংখ্যা ২২ শতাংশ কম হলেও সারা বিশ্বের দর্শনার্থী এবং ট্রানজিট যাত্রীদের আকর্ষণ করে চলেছে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট।
বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ থাকলেও মধ্যপ্রাচ্যের বিমানবন্দরটি আধুনিক অবকাঠামো এবং ব্যাপক সংযোগের সুযোগ বিস্তৃত করায় ধারাবাহিকভাবে সাফল্য ধরে রেখেছে।
টোকিও হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এপ্রিল মাসে প্রায় ৪৫ লাখ আসন পরিবেশন করেছে। জাপানের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত এইচএনডি অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক উভয় যাতায়াতের কেন্দ্র হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। জাপান এয়ারলাইনস (জেএল) এবং অল নিপ্পন এয়ারওয়েজ (এনএইচ) এর মতো বিশিষ্ট এয়ারলাইনসের উপস্থিতির সঙ্গে এইচএনডি এশিয়া এবং তার বাইরেও ব্যাপক সংযোগের ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করছে।
ইউরোপের ব্যস্ততম এই বিমানবন্দর এপ্রিল মাসে প্রায় ৪৩ লাখ যাত্রীকে সেবা দিয়েছে। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ (বিএ) এবং ভার্জিন আটলান্টিক (ভিএস) এর মতো গুরুত্বপূর্ণ এয়ারলাইনস নিয়ে এলএইচআর যুক্তরাজ্য এবং তার বাইরেও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশদ্বার হিসেবে রয়ে গেছে।
ডালাস/ফোর্ট ওয়ার্থ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট (ডিএফডব্লিউ) ২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে প্রায় ৪১ লাখ আসন পরিবেশন করেছে। আমেরিকান এয়ারলাইনসের (এএ) একটি প্রধান কেন্দ্র হিসেবে ডিএফডব্লিউ যুক্তরাষ্ট্র এবং দূরপাল্লার রুটে যাত্রীদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
এর সঙ্গে, ফ্রন্টিয়ার এয়ারলাইনস (এফ নাইন) এবং স্পিরিট এয়ারলাইনস (এনকে) ডিএফডব্লিউ-এর মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ গন্তব্যে বৃহৎ অবদান রাখে।
এপ্রিল মাসে দুর্দান্ত পারফরমেন্স দেখিয়েছে আইএসটি। আগের মাসের তুলনায় বিমানবন্দরটির যাত্রীসংখ্যা এপ্রিলে বেড়েছে ১০ শতাংশ। প্রতিদিনই আসন বৃদ্ধি আইএসটির ক্রমবর্ধমান নেটওয়ার্ক এবং বৈশ্বিক বিমান চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে এর তাৎপর্যকে তুলে ধরে।
চীনের গুয়াংজু বাইয়ুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এপ্রিল মাসে প্রায় ৪০ লাখ আসন পরিবেশন করেছে। দক্ষিণ চীনের একটি অত্যাবশ্যক প্রবেশদ্বার হিসেবে সিএএন শত শত অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক রুটকে সহজতর করেছে, যা এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং সংযোগে অবদান রাখছে।
ডেনভার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরও (ডিইএন) এপ্রিল মাসে প্রায় ৪০ লাখ আসন পরিবেশন করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে বিমান যাত্রীদের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু এই বিমানবন্দর অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক নানা গন্তব্যের সংযোগ প্রদান করে।
শিকাগো ও’হারা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গত এপ্রিল মাসে প্রায় ৩৯ লাখ আসন পরিবেশন করেছে। আগের মাসের তুলনায় ওআরডি প্রতিদিন ৭ শতাংশ আসন যোগ করেছে এবং এই বৃদ্ধি বিমানবন্দরটির ক্রমবর্ধমান গুরুত্বকে তুলে ধরে।
সাংহাই পাডং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এপ্রিল মাসে ৩৮ লাখেরও বেশি আসন পরিবেশন করে বিশ্বব্যাপী ব্যস্ততম বিমানবন্দরগুলোর তালিকায় এসেছে। ২০২৩ সালে ২৯ তম র্যাঙ্কিং থেকে এ বছর শীর্ষ দশে চলে আসা বিমানবন্দরটির ক্রমবর্ধমান চাহিদাকেই প্রকাশ করে। পিভিজির এই উত্থান চীনের ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধার করা বিমান শিল্প এবং পূর্ব চীনের একটি প্রধান প্রবেশদ্বার হিসেবেও বিমানবন্দরটির ভূমিকাকে তুলে ধরে।