অনলাইন ডেস্ক
অস্ট্রেলিয়ার উপকূলবর্তী শহরগুলো চলতি মাসে দুইবার ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবারও আবহাওয়া অফিস বলেছিল, উপকূলের ওপর দিয়ে প্রবল বাতাস বয়ে যাবে এবং নিম্নচাপের সৃষ্টি হবে। আবহাওয়া অফিসের সতর্কবার্তা ফলেছে এবং প্রবল জলোচ্ছ্বাসে উপকূলের সবচেয়ে জনবসতিপূর্ণ রাজ্য ভেসে গেছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিউ সাউথ ওয়েলসে এক মাসের মধ্যে দুইবার বন্যা অস্ট্রেলিয়ার বৃহত্তম শহর সিডনিসহ প্রায় দুই হাজার কিলোমিটার উপকূলীয় এলাকাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
ইতিমধ্যে ৩০ হাজার মানুষকে কুড়িটি আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র কর্মকর্তা ডিন নামারো বলেছেন, ‘আঞ্চলিক কেন্দ্র লিসমোরের মধ্য দিয়ে বয়ে চলা উইলসন নদী বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে, অস্বাভাবিক উচ্চ জোয়ার। এ কারণে উপকূলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হবে এবং নিচু এলাকা ভেসে যাবে।’
গত দুই বছরের মধ্যে অস্ট্রেলিয়া এমন ভয়াবহ বন্যা দেখেনি। অস্ট্রেলিয়ার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় রেকর্ড বন্যা হয়েছে। অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত এবং বাতাসের কারণে জলোচ্ছ্বাস সৃষ্টি হচ্ছে। হাজার হাজার ঘরবাড়ি বন্যায় ভেসে গেছে।
সিডনি থেকে ৭৫০ কিলোমিটার দূরে লিসমোরের কাছে বায়রন বের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রের রাস্তাটি গত কয়েক দশকের মধ্যে এই প্রথম বন্যার পানির নিচে তলিয়ে গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, বন্যায় এ পর্যন্ত দুজনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে। আরও একজন নারী নিখোঁজ রয়েছেন। তাঁকে খোঁজা হচ্ছে। তিনি লিসমোরে বন্যার পানিতে ভেসে গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিউ সাউথ ওয়েলসের ইমার্জেন্সি সার্ভিস মন্ত্রী স্টেফ কুক বলেছেন, ‘পানি কমতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে আমরা এখন পুনরুদ্ধারের কার্যক্রম শুরু করেছি।’