অনলাইন ডেস্ক
ঢাকা: করোনাভাইরাসের নতুন ধরনগুলোর নাম নিয়ে জটিলতার নিরসনে নতুন নামকরণ পদ্ধতির ঘোষণা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। নতুন নামকরণ পদ্ধতি অনুযায়ী, এখন থেকে করোনার নতুন নাম গ্রিক হরফ দিয়ে উল্লেখ করবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। গতকাল বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে গত বছরের শেষ দিকে করোনার যে নতুন ধরনটি পাওয়া গেছে তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘আলফা’। দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া ধরনটির নাম হয়েছে ‘বেটা’। আর ভারতীয় ধরনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডেলটা’।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, করোনাভাইরাসের নতুন ধরন নিয়ে আলোচনা সহজ করার জন্যই তাদের এ নতুন পদ্ধতির প্রবর্তন।
যুক্তরাজ্যে গত বছরের শেষ দিকে এ ভাইরাসের যে ধরনটি ছড়াতে শুরু করেছিল, সেটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘আলফা’। দক্ষিণ আফ্রিকায় পাওয়া ধরনটির নাম হয়েছে ‘বেটা’।
আর সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ভারতকে বিপর্যস্ত করে ফেলা পাওয়া নতুন ধরনটি ‘ডেলটা’ নাম পেয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গ্রিক হরফগুলো বৈজ্ঞানিক নামের পরিবর্তে ব্যবহার করা হবে না। গ্রিক ভাষায় ২৪টি হরফের ব্যবহার করা হয়। তাই নতুন ধরনের সংখ্যা যদি ২৪ টির বেশি বেড়ে যায় তাহলে অন্য কোনো নাম পদ্ধতি প্রয়োগ করা হবে।
নতুন নামকরণ পদ্ধতি ঘোষণার পর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কারিগরি কমিটির প্রধান মারিয়া ফন কেরখোভ বলেছেন এক টুইটে লিখেছেন, “নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত করা বা সে কথা জানানোর জন্য কোনো দেশের ওপর কালিমা লেপন করা উচিত নয়। ”
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সোমবার নতুন এই নামকরণ পদ্ধতির ঘোষণা দিয়েছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ভারতে পাওয়া করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ধরনটিকে ‘ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট’ বলা নিয়ে এ মাসের শুরুতেই আপত্তি জানিয়েছিল দেশটির সরকার।
যে যে লেখায় বা পোস্টে ‘ইন্ডিয়ান ভ্যারিয়েন্ট’ কথাটি থাকবে, সেগুলো বাদ দিতে নয়া দিল্লির পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কর্তৃপক্ষগুলোকে বলা হয়েছিল।