আগামীকাল সোমবার অযোধ্যায় অনুষ্ঠিত হবে রাম মন্দিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানের জন্য পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের শারদা পীঠ কুণ্ড থেকে ‘পবিত্র পানি’ সংগ্রহ করে পাঠিয়েছেন এক মুসলিম ব্যক্তি। পাকিস্তান থেকে ইংল্যান্ড হয়ে নানা মাধ্যম ঘুরে ভারতে এসে পৌঁছেছে সেই পানি। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।
সেভ শারদা কমিটি কাশ্মীর (এসএসসিকে) এর প্রতিষ্ঠাতা রবিন্দর পন্ডিতা বলেন, ২০১৯ সালে পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলা ও বালাকোটে বিমান আক্রমণের পর থেকেই ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ডাক পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। তাই এই ‘পবিত্র পানি’কে অনেক পথ ঘুরে ভারতে আসতে হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘শারদা পীঠ কুণ্ডের পবিত্র পানি তানভীর আহমেদ এবং তার দল সংগ্রহ করেছিল। এলওসি (ভারত ও পাকিস্তানের সীমান্তরেখা) জুড়ে থাকা আমাদের নাগরিক সমাজের সদস্যরা এই পানি ইসলামাবাদে নিয়ে যান। সেখান থেকে এই পানি যুক্তরাজ্যে তানভীর আহমেদের মেয়ে মাগরিবির কাছে পাঠানো হয়। এরপর মাগরিবি এই পানি সোনাল শের নামের এক কাশ্মীরি পণ্ডিতকে এই পানি হস্তান্তর করেন। সোনাল শের ২০২৩ সালের আগস্টে ভারতের আহমেদাবাদে এসেছিলেন। সেখান থেকে এই পবিত্র পানি দিল্লিতে আমার কাছে পৌঁছেছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘এর আগে শারদা পীঠ কুণ্ডের মাটি এবং শিলা পাঠানো হয়েছিল। এবার আসল পানি। এটা গর্বের বিষয় যে, ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের প্রাণপ্রতিষ্ঠায় এই পানি ব্যবহার করা হবে। গত বছরের ৫ জুন শৃঙ্গেরির শঙ্করাচার্যের দ্বারা শারদামন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর এটিই সবচেয়ে বড় ঘটনা।’
এসএসসিকে সদস্য মঞ্জুনাথ শর্মা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের (ভিএইচপি) নেতাদের কাছে পবিত্র পানি হস্তান্তর করেছেন বলে জানান পন্ডিতা। ভিএইচপি নেতারা গতকাল শনিবার অযোধ্যায় সিনিয়র কর্মকর্তা কোটেশ্বর রাওকে এই পানি হস্তান্তর করেন।
রবিন্দর পন্ডিতা বলেছেন যে, ২২ জানুয়ারি এসএসসিকে সদস্যরা শারদামন্দিরেও প্রদীপ জ্বালাবেন। এটা কুপওয়ারা জেলার নিয়ন্ত্রণরেখার কাছেই অবস্থিত।