অনলাইন ডেস্ক
তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলের একটি পেট্রলপাম্পে সম্ভাব্য খুনের আলামত রেখে গেছে একটি কাক। বিষয়টিকে কেন্দ্র করে স্থানীয়দের মধ্যে এখন চাঞ্চল্য বিরাজ করছে। অনেকেই মনে করছেন, খুনের বিষয়ে তথ্য দিতেই কাকটি স্বজ্ঞানে মানুষের পায়ের পাতার একটি টুকরো এবং একটি বুড়ো আঙুল ফেলে রেখে গেছে।
বৃহস্পতিবার ডেইলি সাবাহ’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইস্তাম্বুল মেট্রোপলিটন পৌরসভার একটি পেট্রলপাম্পে প্রতিদিনের মতো দায়িত্ব পালন করছিলেন হারেত্তিন দোগান নামে এক নিরাপত্তারক্ষী। এ সময় হঠাৎ চমকে দিয়ে তাঁর সামনেই নেমে আসে ওই কাকটি এবং ঠোঁটে ধরে রাখা মানুষের আঙুলটি রেখে আবারও উড়ে যায়। এ অবস্থায় হতবিহ্বল দোগান পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং পুরো বিষয়টি খুলে বলেন।
ইস্তাম্বুলের পুলিশ ওই আঙুলের ছাপ এবং ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করে বিশ্লেষণের জন্য ফরেনসিক বিভাগে পাঠিয়েছে। এ ছাড়া বিষয়টির রহস্য ভেদ করার জন্য দেশটির গৃহনির্যাতন ব্যুরোর অভিজ্ঞ গোয়েন্দারাও মাঠে নেমেছন। সম্ভাব্য সব উপায়ে তদন্ত করছেন তারা। এই তদন্তের অংশ হিসেবে কাকটি কোন জায়গা থেকে এবং কোন পথে উড়ে এসেছিল তা খুঁজে বের করতে বিভিন্ন স্থানের ফুটেজ সংগ্রহ করেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। এ ছাড়া সম্প্রতি নিখোঁজ হয়েছে এমন ব্যক্তিদের আঙুলের ছাপ মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।
এদিকে, ঘটনার সময় ওই পেট্রলপাম্পে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা বিষয়টি নিয়ে তাদের বিস্ময় প্রকাশ করেন। তাদের একজন বলেন, ‘প্রথমে আমরা বিষয়টিকে কৌতুক ভেবেছিলাম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটি খুনের আলামতের দিকে মোড় নিয়েছে। রক্তাক্ত ওই আঙুলটি তরতাজা ছিল।’
তবে কাকের আঙুল ফেলে যাওয়ার খবরটি শিগগিরই স্থানীয় মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। কাকের কিছু মানবীয় গুন এবং উপস্থিত বুদ্ধি এখন তাঁদের আলোচনার বিষয়বস্তু। কাকেদের স্মরণশক্তি এতটাই উন্নত যে—তা অনেকটা সাত বছরের শিশুর সমান। এই গুণ দিয়ে তারা কারও চেহারা মনে রাখা কিংবা ভালো ও মন্দ অভিজ্ঞতার বিষয়গুলো যাচাই করতে পারে।
কাকেরা নিজস্ব উপায়ে কিছু জটিল বিষয়ের সমাধান বের করতে পারে এবং ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা পরিকল্পনাও করে। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো—তারা তাদের অর্জিত জ্ঞানগুলো প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে ছড়িয়ে দিতে পারে।
কর্তৃপক্ষ আশা করছে, কাকের কাছ থেকে পাওয়া সূত্র থেকে শিগগিরই খুনের রহস্য বেরিয়ে আসবে। নতুন এই খুনের মামলাটির কেন্দ্রীয় চরিত্র এখন ওই কাকটি।