মঙ্গল গ্রহের শাসনব্যবস্থা নিয়ে তার দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন টেসলা এবং স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্ক। এই বিষয়ে তিনি তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স (পূর্বে টুইটার) এক পোস্ট করেছেন। এক ব্যবহারকারী মঙ্গল গ্রহের শাসনব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করলে মাস্ক এই মতামত দেন।
ইলন মাস্ক বলেন, ‘মারশিয়ানরা (মঙ্গল গ্রহের মানুষেরা) সিদ্ধান্ত নেবে তারা কীভাবে শাসিত হবে। আমি সরাসরি গণতন্ত্রের পরামর্শ দিচ্ছি।’
মঙ্গল গ্রহে মানব বসতি স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করছেন মাস্ক। তিনি আরও বলেন, ‘মঙ্গল গ্রহে আনক্রুয়েড (আরোহী ছাড়া) স্টারশিপ ২ বছরের মধ্যে পৌঁছাতে পারে, সম্ভবত ক্রুয়েড স্টারশিপগুলো মঙ্গল গ্রহের পাশ দিয়ে যাবে এবং ৪ বছরের মধ্যে ক্রুয়েড স্টারশিপ মঙ্গল গ্রহে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।’
তার এই পরিকল্পনা সফল হওয়ার জন্য তিনি প্রয়োজনীয় প্রযুক্তিগত উন্নতির ওপর গুরুত্ব দেন। এক ব্যবহারকারী স্টারশিপের সহনশীলতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলে মাস্ক জানান, ‘আমি আশাবাদী যে, আমরা ২০২৫ সালের মধ্যে একটি সম্পূর্ণ পুনর্ব্যবহারযোগ্য (প্রযুক্তিগতভাবে, উচ্চ মাল্টি-ফ্লাইট পুনর্ব্যবহারযোগ্য) তাপ সহনশীলতার সমাধান বের করতে সক্ষম হবে।
মঙ্গল গ্রহে মানব বসতি স্থাপনের সময়সীমা। মাস্ক আরও জানান, ‘২০২৮ সালের ডিসেম্বর বা ২০২৯ সালের জানুয়ারিতে মঙ্গল গ্রহে মানুষের যাত্রার জন্য একটি ট্রান্সফার উইন্ডো খুলতে পারে। ভবিষ্যৎ দ্রুত এগিয়ে আসছে প্রগতি এবং উন্নতির দিকে ইঙ্গিত করে।
যখন পৃথিবী এবং মঙ্গল গ্রহ সবচেয়ে কাছাকাছি থাকে (যা প্রতিটি ২৬ মাসে একবার ঘটে), তখন মঙ্গল গ্রহে যাত্রার জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক সময় আসে তখন তাকে স্থানান্তর উইন্ডো বলে।
গত অক্টোবর মাসে তাদের সুপার হেভি রকেট সফলভাবে লঞ্চপ্যাডে সফলভাবে ফেরাল স্পেসএক্স।
মঙ্গল গ্রহে একটি স্বনির্ভর শহর প্রতিষ্ঠা করার জন্য ব্যাপক ব্যয়ের কথা উল্লেখ করেন মাস্ক। তিনি বলেন, ‘এই প্রকল্পের খরচ ১ হাজার ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি হতে পারে, যা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের মোট জিডিপি ২৯ ট্রিলিয়ন ডলারকেও ছাড়িয়ে যাবে।’
মাস্ক আরও বলেন, ‘নাসার সাম্প্রতিক মঙ্গল মিশনগুলোর জন্য প্রতি টন কার্যকর মালামাল মঙ্গলের পৃষ্ঠে পাঠাতে খরচ হয়েছে প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার। মঙ্গল গ্রহে বসতি স্থাপন সম্ভব করতে, রকেট ও মহাকাশযান প্রযুক্তিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি প্রয়োজন এবং এই খরচ কমানোর জন্য ১ হাজার গুণ কমানোর প্রয়োজন।’