অনলাইন ডেস্ক
চীন তার তৃতীয় বিমানবাহী রণতরি ফুজিয়ানকে পরীক্ষামূলকভাবে সাগরে নামিয়েছে। এই রণতরীটি চীনের নৌশক্তি বৃদ্ধির সর্বশেষ উদাহরণ। গতকাল বুধবার চীন সাংহাইয়ের নিকটবর্তী সমুদ্রে পরীক্ষার জন্য নিয়ে যায় ফুজিয়ানকে। নতুন এই রণতরিটি প্রায় ৮০ হাজার মেট্রিক টন পানি অপসারণ করতে পারে। যা চীনের অপর দুই রণতরি থেকে অনেক বেশি।
চীনের এই রণতরি দেশটির সর্বাধুনিক হলেও তা যুক্তরাষ্ট্রের সর্ববৃহৎ ও সর্বশেষ রণতরি ইউএসএস জেরাল্ড ফোর্ড থেকে কতটা এগিয়ে বা পিছিয়ে তা নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন।
চীনের আগের দুই রণতরি শ্যানডং ও লিয়াওনিংয়ের পানি অপসারণ ক্ষমতা ছিল যথাক্রমে ৬৬ হাজার ও ৬০ হাজার মেট্রিক টন। বিপরীতে নতুন রণতরি ফুজিয়ানের পানি অপসারণ ক্ষমতা ৮০ হাজার মেট্রিক টন। নিঃসন্দেহে ফুজিয়ান চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির সক্ষমতার এক নতুন মাইলফলক।
তবে সিএনএন বিভিন্ন থিংক ট্যাংকের বরাত দিয়ে জানাচ্ছে, তুলনা যদি করা হয় তাহলে পানি অপসারণের দিক থেকে জেরাল্ড ফোর্ড অনেক এগিয়ে। ফুজিয়ানের সক্ষমতা যেখানে ৮০ হাজার মেট্রিক টন অপসারণের, সেখানে জেরাল্ড ফোর্ড অপসারিত করতে পারে ১ লাখ মেট্রিক টন।
আরেকটি জায়গায় ফুজিয়ান জেরাল্ড ফোর্ডের চেয়ে পিছিয়ে। মার্কিন রণতরটি যেখানে পরমাণু শক্তিচালিত সেখানে ফুজিয়ান এখনো প্রথাগত জ্বালানি নির্ভর। ফলে, রসদ ফুরিয়ে না গেলে জেরাল্ড ফোর্ডের তীরে ভেড়ার কোনো প্রয়োজন নেই। কিন্তু ফুজিয়ানের ধারাবাহিকভাবে সাগরে থাকতে হলে কোনো ওয়েল ট্যাংকারের সহায়তা নিতে হবে।