অনলাইন ডেস্ক
পাকিস্তানে গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল অসিম মালিক ঢাকা সফর করেছেন। গত মঙ্গলবার তিনি ঢাকায় এসেছিলেন। কয়েক দশকের মধ্যে এই প্রথম পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান বাংলাদেশ সফরে এলেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এই দাবি করেছে। দেশটির অন্যান্য সংবাদমাধ্যমগুলোও একই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
কথিত নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মালিকের বাংলাদেশ সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মধ্যে তথ্য বিনিময়ের একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করা। তবে নয়া দিল্লি অভিযোগ করেছে, এই সফরের ফলে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড বাড়তে পারে, যা ভারতে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।
জেনারেল মালিক গত মঙ্গলবার দুবাই হয়ে ঢাকায় পৌঁছান। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল (কিউএমজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ ফয়জুর রহমান তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্ক ঐতিহাসিকভাবে শীতল হলেও, সম্প্রতি ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক কিছুটা উন্নত হয়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, উভয় দেশে ক্রমবর্ধমান ভারতবিরোধী মনোভাব এই সম্পর্কোন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে।
এর আগে, বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) ও সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় শীর্ষ কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট জেনারেল এসএম কামরুল হাসান ইসলামাবাদ সফর করেন। সফরকালে তিনি পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ অসিম মুনির এবং জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জার সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ এবং দ্বিপক্ষীয় সামরিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয় বলে পাকিস্তানের আইএসপিআর জানায়।
সেই বৈঠকে দুই জেনারেল একটি ‘শক্তিশালী প্রতিরক্ষা সম্পর্ক’ গড়ে তোলার ওপর জোর দেন। তারা বলেন, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে অংশীদারত্বকে বাইরের প্রভাব থেকে সুরক্ষিত রাখা জরুরি। তবে বিবৃতিতে ভারতের নাম সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ গত ডিসেম্বরে মিসরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত উন্নয়নশীল দেশগুলোর জোট ডি-৮ এর শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মোহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তার আগে, সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে সাক্ষাৎ করেন এই দুই নেতা।