অনলাইন ডেস্ক
বিশ্বজুড়ে নানা কারণে জোরপূর্বক মানুষকে বাস্তুচ্যুত করার সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এই সংখ্যা বিগত ১২ বছর ধরে বেড়েই চলেছে। সর্বশেষ ২০২৩ সালে বিশ্বে মোট ১২ কোটি মানুষকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর। তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ইউএনএইচসিআরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সংখ্যা ঐতিহাসিক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই সংখ্যা নির্দেশ করে যে নতুন এবং আগে থেকেই বিদ্যমান দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতগুলোর সমাধান না হওয়ার কারণে এখন আরও বেশি পরিমাণে মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে।
প্রতিবেদনে, মোট বাস্তুচ্যুতদের সংখ্যাকে বিশ্বের ১২তম শীর্ষ জনসংখ্যার দেশ জাপানের মোট জনসংখ্যার পরিমাণের সঙ্গে তুলনা করা হয়। সুদানের সংঘাতের দিকে ইঙ্গিত করে বলেছে, ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে দেশটি চলা সংঘাতে ৭১ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। আর এর আগেই দেশটিতে আরও ১৯ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত ছিল। ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ মোট ১০ লাখ ৮০ হাজার সুদানি বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক কঙ্গো ও মিয়ানমারে ভয়াবহ লড়াইয়ের কারণে লাখ লাখ মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের বিষয়ে জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএয়ের বরাত দিয়ে ইউএনএইচসিআর বলেছে, গাজা উপত্যকায় ১৭ লাখ লোক; যা মোট জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশ ‘বিপর্যয়কর সহিংসতার’ কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই একাধিকবার আশ্রয়হীন হয়েছে।
ইউএনএইচসিআরের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাস্তুচ্যুতি সংকট’ রয়েছে সিরিয়ায়। দেশটিতে এবং দেশের বাইরে মোট বাস্তুচ্যুত লোকের সংখ্যা ১ কোটি ৩৮ লাখ।