অনলাইন ডেস্ক
এ বছর সাহিত্যে নোবেল জিতলেন ভারত মহাসাগরের বিচ্ছিন্ন দ্বীপ জানজিবারের শরণার্থী আব্দুল রাজাক গুরনাহ। এই ঔপন্যাসিকের সাহিত্যকর্ম জুড়ে আছে সংস্কৃতি ও মহাদেশের মধ্যকার সাংঘর্ষিক সম্পর্কের মধ্যে শরণার্থীদের নিয়তি এবং ঔপনিবেশিকতার প্রভাবের বিস্তৃত বর্ণনা।
আজ বৃহস্পতিবার স্টকহোমে সুইডিশ একাডেমি সাহিত্যে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণার বিবৃতিতে আব্দুল রাজাকের সাহিত্যকর্ম সম্পর্কে এভাবেই বর্ণনা দিয়েছে।
আব্দুল রাজাকের জন্ম ১৯৪৮ সালে। তিনি বেড়ে উঠেছে ভারত মহাসাগরের জানজিবার দ্বীপে। তানজানিয়ার একটি বিচ্ছিন্ন স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপ এটি। ১৯৬০-এর দশকের শেষ নাগাদ ইংল্যান্ডে পাড়ি দেন আব্দুল রাজাক।
তাঁর দশটি উপন্যাস এবং বেশ কয়েকটি ছোট গল্প প্রকাশিত হয়েছে। তার সাহিত্যকর্ম জুড়েই আছে শরণার্থীদের জীবন, জীবিকা ও সাংস্কৃতিক সংকট।
উল্লেখ্য, পঞ্চম আফ্রিকান হিসেবে সাহিত্যে নোবেল জিতলেন আব্দুল রাজাক। এর আগে ১৯৫৭ সালে প্রথম সাদা আফ্রিকান হিসেবে সাহিত্যে নোবেল জিতেন আলবের কাম্যু। এরপর ১৯৮৬ সালে নাইজেরিয়ার ওলে সোয়েঙ্কা, ১৯৮৮ সালে মিশরের নাগিক মাহফুজ এবং ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার জে এম কোয়েৎজি সাহিত্যে নোবেল জিতেন।
১৯০১ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার চালুর পর থেকে এ যাবত এ ক্ষেত্রে নোবেল জিতেছেন ১১৪ জন। এর মধ্যে চারবার যৌথভাবে দুইজন করে জিতেছেন এ পুরস্কার। আর এখন পর্যন্ত সাহিত্যে নোবেল জেতা নারীর সংখ্যা ১৬।
সাহিত্যে নোবেল জেতা সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি রুডিয়ার্ড কিপলিং। ৪১ বছর বয়সে নোবেল পান তিনি। তাঁর সবচেয়ে জনপ্রিয় বইয়ের নাম ‘দ্য জাঙ্গল বুক’।
আর সবচেয়ে বেশি বয়সে নোবেল জিতেছেন ডোরিস লেসিং। ২০০৭ সালে নোবেল জিতেন তিনি, তখন তাঁর বয়স ছিল ৮৮ বছর।