ব্রাজিলের করোনা সংক্রমণ আবারও নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। হাসপাতালগুলোতে ধারণাক্ষমতার চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি। তবে এবার তরুণদের মধ্যে সংক্রমণ বেশ গুরুতর দেখা যাচ্ছে। দেশটির হাসপাতালগুলোর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে (আইসিইউ) বয়স্কদের চেয়ে তরুণদেরই বেশি ভর্তি করতে হচ্ছে।
গতকাল রোববার একটি গবেষণায় এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে। ব্রাজিলিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ইনটেন্সিভ মেডিসিনের অধীনে ব্রাজিলিয়ান আইসিইউ প্রজেক্টের আওতায় এই গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়।
গবেষণায় বলা হয়, করোনার নতুন ধরনের কারণে ব্রাজিলে সংক্রমণ বেড়েছে। গত মার্চে ব্রাজিলের হাসপাতালগুলোর আইসিইউতে ৩৯ এবং এর কম বয়সী ১১ হাজারের বেশি রোগী ভর্তি হয়েছেন। যা আইসিইউতে ভর্তি হওয়া মোট রোগীর ৫২ দশমিক ২ শতাংশ।
করোনা মহামারির শুরুতে আইসিইউতে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে মাত্র ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ ছিলেন তরুণ। কিন্তু গত সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই সংখ্যা বেড়ে ৪৫ শতাংশে দাঁড়ায়।
ব্রাজিলিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ইনটেন্সিভ মেডিসিনের প্রকল্পের সহ-সমন্বয়কারী ড. এদেরলন রেসেন্দে বলেন, আগে এই বয়সের জনসংখ্যার মানুষের সংক্রমণ সাধারণত কম-গুরুতর ছিল এবং আইসিইউতে নেওয়ার প্রয়োজন হতো না। সুতরাং বর্তমানে এই বয়সের মানুষের আইসিইউতে ভর্তি হওয়াটা খুব তাৎপর্যপূর্ণ।
ব্রাজিলীয় এই বিশেষজ্ঞ আরও বলেন, কাজের জন্য তরুণদের বাইরে যেতে হচ্ছে। তাঁরা বিশ্বাস করেন করোনায় তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম। আর এই জন্য তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি থাকছে। এছাড়া পি১ নামের ব্রাজিলে যে নতুন ধরনটি ছড়িয়েছে সেটিও তরুণদের আইসিইউতে ভর্তির আরেকটি কারণ হতে পারে।
গবেষণায় বলা হয়, ব্রাজিলে ৮০ বছর বয়সের বেশি রোগীদের আইসিইউতে ভর্তির হার কমে ১৩ দশমিক ৬ থেকে ৭ দশমিক ৮ শতাংশে নেমে এসেছে।
গত মার্চেই ব্রাজিলে ৬৬ হাজার ৫০০ জন করোনায় মারা গেছেন। দেশটিতে এ পর্যন্ত ৩ লাখ ৫১ হাজারের বেশি করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে । ব্রাজিলে এ পর্যন্ত ২ কোটি ২০ লাখ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। শনাক্তের দিক দিয়ে বিশ্বে ব্রাজিলের অবস্থান এখন তৃতীয়। এ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং দ্বিতীয় ভারত।