ইকুয়েডরে জরুরি অবস্থা জারি করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট। মাদক সংক্রান্ত সহিংসতার কারণে দেশটির তিনটি প্রদেশে দুই মাসব্যাপী এই জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। শুক্রবার দেশটির প্রেসিডেন্ট গুইলারমো ল্যাসো এই জরুরি অবস্থা জারি করেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
শুক্রবার ইকুয়েডরের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে সম্প্রচারিত এক বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমি উপকূলীয় প্রদেশ গুয়াস, মানাবি ও এসমেরালদাসে একটি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করছি, যা আজ (শুক্রবার) মধ্যরাত থেকে কার্যকর হবে।’
গত বছরের শেষ দিক থেকে বৃদ্ধি পাওয়া মাদক সংক্রান্ত সহিংসতা মোকাবিলায় ল্যাসো দ্বিতীয়বারের মতো এই জরুরি জারি করলেন। ল্যাসো এর আগে, গত বছরের অক্টোবরে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছিলেন।
দেশটির সরকার মাদককে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভয়াবহ অবনতি হওয়ার পেছনে মাদক চোরাকারবারিদের চক্রকে দায়ী করেছে। এসব চোরাকারবারিরা যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে মাদক রপ্তানির জন্য দেশটিকে ট্রানজিট পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।
দুই মাসব্যাপী এই জরুরি অবস্থায় প্রদেশ তিনটিতে টহল দেওয়ার জন্য প্রায় ৯ হাজার পুলিশ ও সৈন্য মোতায়েন করা হবে। প্রদেশ তিনটির শহরগুলোর নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় স্থানীয় সময় রাত ১১টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ বলবৎ থাকবে।
ইকুয়েডরে মাদক পাচারের কারণে দেশটিতে অপরাধ ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, চলতি বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ১২৫৫ জন নিহত হয়েছেন। মেক্সিকোর একটি শক্তিশালী ড্রাগ কার্টেলের সঙ্গে সম্পর্কিত কয়েক হাজার বন্দী ইকুয়েডরের কারাগারের অভ্যন্তরেও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে জেলের ভেতরে মাদক চোরাকারবারিদের মধ্যকার সংঘর্ষে প্রায় সাড়ে ৩ শ জন নিহত হয়েছেন।