অনলাইন ডেস্ক
ভারতীয় মুসলমানেরা কষ্ট সহ্য করছেন বলে মন্তব্য করেছিলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা সেই মন্তব্য নিয়ে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়ে গেছে ভারত ও ইরান। চরম উত্তপ্ত অবস্থায় পৌঁছে গেছে পরিস্থিতি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে খামেনির ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা এক টুইটে বলা হয়, ‘ইসলামের শত্রুরা সব সময়ই ইসলামি উম্মাহ হিসেবে আমাদের পরিচয়ের ব্যাপারে উদাসীন করে তোলার চেষ্টা করেছে। মিয়ানমার, গাজা, ভারত বা অন্য কোনো স্থানে একজন মুসলিম যে কষ্ট সহ্য করছে সে বিষয়ে বিমুখ হয়ে থাকলে আমরা নিজেদের মুসলিম হিসেবে বিবেচনা করতে পারি না।’
তবে ভারত সরকার দেশটির মুসলমানদের নিয়ে করা খামেনির সমালোচনা করেছে এবং তাঁকে ইরানে সংখ্যালঘুদের প্রতি তাঁর সরকারের আচরণের কথা মনে করিয়ে দিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা ইরানের সর্বোচ্চ নেতার ভারতে সংখ্যালঘুদের বিষয়ে করা মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই। এগুলো ভুল তথ্য ও অগ্রহণযোগ্য। সংখ্যালঘু বিষয়ে মন্তব্য করা দেশগুলোকে অন্যদের সম্পর্কে কোনো পর্যবেক্ষণ হাজির করার আগে তাদের নিজস্ব রেকর্ড দেখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
ভারত ও ইরানের মধ্যে একাধিকবার মুসলিম অধিকার ইস্যুতে বিবাদ তৈরি হয়েছে। তবে এবার যা ঘটেছে এ ধরনে ঘটনা তুলনামূলক বিরল। দুই দেশ ইতিবাচক সম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করেছে সব সময়। এর আগে, ২০১৯ সালে খামেনি ভারত সরকারকে কাশ্মীরের ইস্যুতে ‘ন্যায্য’ পন্থা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছিলেন। সে সময়ও দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন তৈরি হয়েছিল।
সেই ঘটনার এক বছর পর ইরানের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ দিল্লি দাঙ্গায় মুসলমানদের বিরুদ্ধে সহিংসতার বিষয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন। জবাবে ভারত ইরানের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে হতাশা প্রকাশ করে।