অনলাইন ডেস্ক
ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে ডেঙ্গু মৌসুম মোকাবিলার প্রস্তুতি নিচ্ছে আর্জেন্টিনা। কিন্তু মশা তাড়ানোর ওষুধের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে দেশটিতে। দেশটিতে মশা প্রতিরোধক কেনা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। অনেক সুপার মার্কেট ও ফার্মেসিতে ‘নো রিপেলেন্ট’ নোটিশ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনলাইনসহ কিছু কিছু জায়গায় এখনো প্রতিরোধক পাওয়া গেলেও এগুলোর দাম আকাশচুম্বী।
সরকার এটিকে সাময়িক সমস্যা হিসেবে উল্লেখ করে বলেছে, আগামী কয়েক দিনেই এর সমাধান হয়ে যাবে। তবে সরকারের দেওয়া আশ্বাসে ভরসা পাচ্ছে না বেশির ভাগ নাগরিক। বিশেষ করে বুয়েনস এইরেসের আয়ার্সের বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছে; কারণ, এরই মধ্যে লাখ লাখ আর্জেন্টাইন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, গত মার্চ মাস থেকেই দেশটিতে মশা প্রতিরোধকের সংকট দেখা দিতে শুরু করে। মশা প্রতিরোধক প্রস্তুতকারী একটি প্রতিষ্ঠান জানায়, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের পূর্বাভাসে ত্রুটির কারণে এ সংকট দেখা দিয়েছে এবং পণ্য উৎপাদনে কয়েক মাস সময় লেগেছে।
আর্জেন্টিনার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মারিও রুশো রেডিও কনটিনেন্টালকে বলেন, এটি সরবরাহ এবং চাহিদার মধ্যে সমস্যা।
ডেঙ্গু একটি মশাবাহিত ভাইরাস; যা গুরুতর অসুস্থতার কারণ হতে পারে এবং কিছু ক্ষেত্রে মৃত্যুও হতে পারে। ডেঙ্গুর একটি ভ্যাকসিন তৈরি হয়েছে। তবে এটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে থাকায় বেশির ভাগ মানুষ ভাইরাস এড়াতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার ওপর নির্ভর করে। গ্রীষ্মমণ্ডলীয় এবং উপক্রান্তীয় জলবায়ু অঞ্চলে ডেঙ্গু সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে— উচ্চ জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা, ফোলা গ্রন্থি ও ফুসকুড়ি।
গত শনিবার (৩০ মার্চ) আর্জেন্টিনার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২৪ সালে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৪১৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে। প্রায় সব বয়সের আক্রান্তদেরই মৃত্যু হচ্ছে, বিশেষ করে ৮০ বছরের বেশি বয়সের আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার সবচেয়ে বেশি।
মশা প্রতিরোধক ব্যবহার করে মশার কামড় এড়াতে পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া অসুস্থতার লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।