অনলাইন ডেস্ক
ব্রাজিলের সাও পাওলো রাজ্যে প্রবল বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে অন্তত ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া নিখোঁজ অনেকে। বাস্তুচ্যুত ও নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে কয়েক শ মানুষকে। গত ২৪ ঘণ্টায় কিছু এলাকায় ৬০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া ভিডিওতে দেখা গেছে, সাও পাওলোর কিছু এলাকা পানির নিচে। বন্যার পানিতে প্লাবিত রাস্তাঘাট এবং ভেসে গেছে অনেক ঘরবাড়ি। উদ্ধারকর্মীরা হতাহতদের খোঁজে অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। তবে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কিছু এলাকায় পৌঁছাতে হিমশিম খাচ্ছে উদ্ধারকারী দলগুলো।
সাও সেবাস্তিয়াও শহরের মেয়র ফিলিপ অগাস্টো বলেছেন, ‘অনুসন্ধান এবং উদ্ধারকারী দল বেশ কয়েকটি জায়গায় পৌঁছতে পারছে না। এটি অত্যন্ত সংকটজনক পরিস্থিতি। আমরা এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতে পারিনি। এখন ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্ধারের চেষ্টা করছি সবাই।’
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, সান সেবাস্তিয়াও শহরেই মারা গেছেন ৩৫ জন। আর পার্শ্ববর্তী একটি শহরে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। একজন বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা স্থানীয় গণমাধ্যম ফলহা দে সাও পাওলোকে বলেছেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত আমাদের আরও অনেক মৃত্যু দেখতে হতে পারে।’
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাজ্যের সাও সেবাস্তিয়াও, কারাগুয়াটাতুবা, ইলহাবেলা, উবাতুবা, গুয়ারুজা ও বার্টিওগা এই ছয়টি শহরে ছয় মাসের বিপর্যয় ঘোষণা করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সেখানকার কয়েকটি শহরে বার্ষিক কার্নিভ্যাল উদ্যাপন বাতিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উৎসবটি সাধারণত পাঁচ দিন ধরে চলে।
সাও পাওলো রাজ্যের গভর্নর টারসিসিও ডি ফ্রেইতাস বলেছেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় ত্রাণ সহায়তার জন্য ১৫ লাখ ডলারের তহবিল ছেড়েছেন তিনি।
এদিকে এক টুইটার পোস্টে বন্যায় হতাহতের স্বজনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা। পাশাপাশি স্বাস্থ্যসেবা ও উদ্ধারকারী দল পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। সোমবার ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করার কথা রয়েছে তাঁর।