আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের হাতে বন্দী দুই নারী অধিকারকর্মীকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘ। আজ মঙ্গলবার প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্দী থাকা এ দুই অধিকার কর্মীকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়। তাঁদের আটকের কোনো কারণ দেখায়নি তালেবান সরকার।
তালেবান সরকার প্রায় সব ক্ষেত্র থেকেই নারীদের নিষিদ্ধ করেছে। ষষ্ঠ শ্রেণির পর থেকে মেয়েদের পড়াশোনাও নিষিদ্ধ আফগানিস্তানে। ২০২১ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বেশ কয়েকটি কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তালেবান সরকার।
আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তানে নিযুক্ত বিশেষ প্রতিনিধি রিচার্ড বেনেটসহ জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞরা নেদা পারওয়ান ও ঝোলিয়া পারসি এবং তাঁদের পরিবারের মুক্তিকে জরুরি বলে উল্লেখ করেছেন। তাঁদের আইনি কোনো সহযোগিতা দেওয়া হয়নি, কোনো অপরাধের অভিযোগ আনা হয়নি বা আদালতে হাজির করা হয়নি বলে উল্লেখ করেছেন তাঁরা।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, ‘আমরা তাঁদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা নিয়ে উদ্বিগ্ন।’ তাঁরা তালেবান সরকারকে অধিকার ও স্বাধীনতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতে আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন, অধিকারকর্মীদের আটকের কোনো যৌক্তিকতা নেই।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভিন্নমত প্রকাশ করার জন্য স্বাধীনতা জনগণের স্বাধীনতা খর্ব করা যাবে না। বিশেষ করে লিঙ্গবৈষম্যের কারণে নারী অধিকারকর্মীরা ঝুঁকিতে রয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা ফরাসি–আফগান সাংবাদিক মরতাজা বেহবুদি এবং আন্দোলনকর্মী ও বেসরকারি সংস্থা পেন পাথের প্রতিষ্ঠাতা মতিউল্লাহ ওয়েসার মুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন। পেন পাথ নারী শিক্ষা নিয়ে কাজ করে।
ওয়েসাকে সাত মাস আগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তিনি সব সময় নারী শিক্ষার অধিকার নিয়ে সোচ্চার ছিলেন। তিনি তালেবান সরকারকে নারী শিক্ষার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বারবার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
বিশ্বে আফগানিস্তানই একমাত্র দেশ যেখানে নারী শিক্ষার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।