অনলাইন ডেস্ক
আর্মেনিয়ার একটি সামরিক ঘাঁটিতে আজ বৃহস্পতিবার ভোরে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এতে অন্তত ১৫জন সৈন্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট।
আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সুরেন পাপিকিয়ান মন্ত্রিসভার বৈঠকে বলেছেন, ‘গেঘারকুনিক প্রদেশের আজাত গ্রামের সামরিক ঘাঁটিতে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। সৈন্যরা চুলার জ্বালানিতে পেট্রল ব্যবহার করার কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এতে ১৫ সেনা নিহতের পাশাপাশি অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’
এ অগ্নিকাণ্ডের জন্য জেনারেল ভাগ্রাম গ্রিগরিয়ানকে বরখাস্ত করেছেন আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী নিকোল পাশিনিয়ান। তিনি বলেছেন, ‘জেনারেল ভাগ্রাম গ্রিগরিয়ান এ অঞ্চলের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি দায়িত্বরত অবস্থায় এ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে এবং বেশ কয়েকজন সেনার হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এর দায় তিনি এড়াতে পারেন না।’
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইতিমধ্যে অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছেন আইনজীবীরা।
আর্মেনিয়ার গেঘারকুনিক অঞ্চলটির সঙ্গে পার্শ্ববর্তী দেশ আজারবাইজানের সীমান্ত রয়েছে। এ সীমন্তের নাগর্নো-কারাবাখ অঞ্চলটি নিয়ে আর্মেনিয়ার সঙ্গে আজারবাইজানের এক দশক ধরে বিরোধ চলছে। এ অঞ্চলকে আজারবাইজান নিজেদের বলে দাবি করে। কিন্তু ১৯৯৪ সালে বিচ্ছিন্নতাবাদী যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে আর্মেনিয়া বাহিনী এ অঞ্চল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে তীব্র যুদ্ধ হয়। ছয় সপ্তাহ ধরে চলা সেই যুদ্ধে আজারবাইজানের সামরিক বাহিনী আর্মেনিয়ার সেনাবাহিনীকে পরাজিত করে এবং নাগর্নো-কারাবাখের ভেতরে চলে যায়। এরপর ওই বছরের নভেম্বরে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যে শান্তি চুক্তি হয়। কিন্তু তারপরেও দুই দেশের সেনাবাহিনী গত বছরের সেপ্টেম্বরে আবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। সেই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫৫ সেনা নিহত হন।