অনলাইন ডেস্ক
আফগানিস্তানে ভারী তুষারপাতে গত তিন দিনে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩০ জন। আফগান সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, বালখ এবং ফারিয়াব প্রদেশে সাম্প্রতিক তুষারপাতের কারণে মানুষের পাশাপাশি প্রায় ১০ হাজার গবাদি পশুও মারা গেছে।
সার-ই-পুলের বাসিন্দা আব্দুল কাদির বলেন, খুব ভারী তুষারপাত চলছে। মানুষ উদ্বিগ্ন, কারণ তাদের গবাদিপশুর ক্ষতি হচ্ছে। অনেক রাস্তা অবরুদ্ধ, যান চলাচল নেই বললেই চলে।
একই এলাকার আরেক বাসিন্দা আমানুল্লাহ বলেন, প্রবল তুষারপাত হচ্ছে। রাস্তাঘাট অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। ভেড়াগুলো ক্ষুধার্ত। এ অবস্থায় সরকারের সাহায্য করা উচিত।
জানা গেছে, গত দুই দিনের টানা তুষারপাতে সলং গিরিপথ এবং ঘোর, বাদঘিস, গজনি, হেরাত, বামিয়ানসহ দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে যান চলাচলে বন্ধ হয়ে গেছে।
ফারিয়াবের প্রাদেশিক গভর্নরের মুখপাত্র এসমতুল্লাহ মুরাদি বলেছেন, প্রদেশটিতে ভারী তুষারপাতের ফলে বেশিরভাগ জেলার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী বাসিন্দারা আটকা পড়েছেন।
আফগানিস্তানের কৃষি, সেচ ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মিসবাহউদ্দিন মুস্তাইন বলেছেন, সব প্রদেশে কমিটি গঠন করা হয়েছে। অবরুদ্ধ রাস্তাঘাট চালু করা, জনগণের কাছে খাদ্য ও পশুখাদ্য পৌঁছে দেওয়া এবং যারা আটকা পড়েছেন তাদের উদ্ধারের জন্য কাজ করছে এসব কমিটি।
আফগান রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মুখপাত্র এরফানুল্লাহ শরাফজোই বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত শীতকালীন পরিষেবা কর্মীরা বাদঘিস, ঘোর, ফারাহ, কান্দাহার, হেলমান্দ, জাওজান, নুরিস্তান এবং সর্বশেষ তুষারপাতে ক্ষতিগ্রস্ত অন্যান্য প্রদেশের জনগণকে সহায়তা করতে সক্ষম হয়েছে।’
আফগানিস্তানের গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ আশরাফ হকসেনাস বলেছেন, গত দুই দিনের তুষারপাতের কারণে সালং মহাসড়ক, বামিয়ান প্রদেশের বেশ কয়েকটি রুট, দাইকুন্ডি, গজনি এবং কিছু প্রদেশে সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।
ফারিয়াবের প্রাদেশিক গভর্নরের মুখপাত্র এসমতুল্লাহ মুরাদি বলেছেন, ফারিয়াব প্রদেশে ভারী তুষারপাতের ফলে বেশিরভাগ জেলার রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাসকারী বাসিন্দারা আটকা পড়েছেন। তুর্কমেনিস্তানের সীমান্তবর্তী চাহার সাদা জেলার একজন কর্মকর্তা মারা গেছেন।
এখন পর্যন্ত আফগানিস্তান সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে হতাহতের সংখ্যা প্রকাশ করেনি। তবে টোলো নিউজ জানিয়েছে, এই তুষারপাতের ফলে আগামী দিনগুলোতে হতাহত মানুষ ও গবাদিপশুর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।