ঢাকা: পাঁচ অভিযোগে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচির বিচার শুরু হয়েছে। অভিযোগগুলো হলো-রাষ্ট্রের গোপন তথ্য পাচার, নিয়মবহির্ভূতভাবে ওয়াকিটকি রাখা ও ব্যবহার, ক্ষমতায় থাকাকালে ঘুষ গ্রহণ, নিজের দাতব্য সংস্থার নামে অবৈধভাবে ভূমি অধিগ্রহণ ও করোনা পরিস্থিতি সামাল দেওয়ায় গাফিলতি। আজ সোমবার মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোর একটি আদালতে বিচার শুরু হয়েছে সু চির বিচার শুরু হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে গত ৪ মাস ধরে দেশটির ক্ষমতাসীন সামরিক সরকারের নির্দেশে গৃহবন্দী অবস্থায় আছেন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভ্যুত্থানের পরপরই সু চি ও তার দল এনএলডির গ্রেপ্তার সদস্যদের মুক্তির দাবিতে মিয়ানমারজুড়ে শুরু হয় ব্যাপক আন্দোলন। মিয়ানমারের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সংস্থাগুলো জানায়, সেনাবিরোধী আন্দোলনে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৮৫০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
বিচার শুরুর আগে সু চির আইনজীবী দলের সদস্য খিং মং জাও বলেন, আমরা সর্বোচ্চ ভালোর জন্য আশা করছি কিন্তু সবচেয়ে খারাপ কিছু হওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।
সু চির বিচার শুরু হওয়ার আগে গত শুক্রবার এ বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে এক বিবৃতিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার হাইকমিশনার মিশেল বেশেলেট বলেছিলেন, এই বিচার প্রক্রিয়া মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ক্ষমতাকে স্থায়ী করার ষড়যন্ত্র। শত শত মানুষকে হত্যা করে এই পরিস্থিতি তৈরি করেছে তারা।
আজ সোমবার মিয়ানমারে ক্ষমতাসীন সামরিক সরকারের পররাষ্ট্র বিভাগ পাল্টা এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ হাইকমিশনারের বিবৃতি প্রত্যাখান করেছে।
মিয়ানমারের জান্তাদের বিবৃতিতে তারা বলেছে, জাতিসংঘ বেসামরিক লোকজনের মৃত্যু দেখছে, কিন্তু বিদ্রোহীদের হামলায় যেসব সামরিক সদস্য মারা গেছেন, তাদের কথা জাতিসংঘ সামনে আনছে না।