দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধের অবসানের মধ্য দিয়ে গত ১৫ আগস্ট পুনরায় আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসে তালেবান। এরপর নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে গত মঙ্গলবার ক্ষমতাগ্রহণের ১০০ দিন পার করল আফগানিস্তানের এক সময়ের বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি। অর্থনৈতিক-সামাজিক সংকট বৃদ্ধিসহ নানা ইস্যুতে এরই মধ্যে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছে তালেবান সরকার, ব্যর্থ হয়েছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের ক্ষেত্রেও।
তালেবানের ক্ষমতাগ্রহণের প্রথম ১০০ দিনে আফগানিস্তানে ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আফগানিস্তান ইস্যুতে জি-২০ নেতাদের পাশাপাশি বৈঠকের আয়োজন করেছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এবং ইরান, পাকিস্তান, ভারত, রাশিয়া ও চীন। তবে এসব বৈঠকে তালেবান সরকারের স্বীকৃতি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে আফগানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম টিওএলও নিউজ।
তবে ইরান, পাকিস্তান, চীন, রাশিয়া, তুরস্ক, কাতার, উজবেকিস্তান, তুর্কমিনিস্তান, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, ইতালি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ১১টি দেশ সম্প্রতি আফগানিস্তানে দূতাবাস খুলেছে বলে জানা গেছে।
এদিকে আগামী সপ্তাহে আবারও কাতারে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসছে তালেবান। জানা গেছে, সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে লড়াই এবং মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলার বিষয়ে মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তালেবানের আলোচনা হবে।
গতকাল মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, মার্কিন বিশেষ প্রতিনিধি টম ওয়েস্টের নেতৃত্বে আমেরিকান প্রতিনিধিদলের সঙ্গে তালেবানের দুই সপ্তাহের আলোচনা হবে।
দুই সপ্তাহ আগে পাকিস্তানে তালেবান প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছিল টম ওয়েস্ট।
তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি গত সপ্তাহে মার্কিন কংগ্রেসের কাছে একটি খোলা চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক জব্দ করা আফগান সম্পদ ছেড়ে দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছে।