করোনা মহামারি সময় থেকে আরোপ করা কঠোর বিধিনিষেধ এরই মধ্যে তুলে নিয়েছে চীন। দেশটির নাগরিকেরা বিভিন্ন ছুটিতে বিদেশে ভ্রমণ করতে পারছেন এখন। এমনকি অনেকে এই সুযোগে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বসবাসের জন্য নতুন বাড়ি খুঁজছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানা যায়, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া এবং সিঙ্গাপুরে নতুন বাড়ির জন্য অভিবাসন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে চীনা নাগরিকেরা।
এমনই একজন সাংহাইয়ের বাসিন্দা ড্যানিয়েল বিয়ান। যিনি থাইল্যান্ডের ব্যাংককে একটি বিলাসবহুল ভবনের ১৯ তলায় সুইমিং পুলের পাশে একটি আরামদায়ক চেয়ারে শুয়ে পান করেছিলেন আর রয়টার্সকে নিজের অনুভূতি জানাচ্ছিলেন। বিয়ান বলেন, ‘আমি প্রাণ ফিরে পেয়েছি, মুক্তির স্বাদ পাচ্ছি। এটা আমার স্বপ্ন ছিল।’
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবে তিন বছর ধরে সীমান্ত বন্ধসহ কঠোর বিধিনিষেধ ছিল চীনে। সীমান্ত খোলার পর থেকে থাইল্যান্ডে চীনাদের সম্পত্তি কেনার হিড়িক পড়ে যায়। থাইল্যান্ডে আন্তর্জাতিক স্কুল এবং বাড়িগুলোর বিষয়ে অনুসন্ধানের ধারাবাহিকতা লক্ষ্য করা যায়।
পয়লা মে শ্রমিক দিবসের ছুটিতে থাইল্যান্ড ছিল চীনা ভ্রমণকারীদের জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় গন্তব্য। একটি আন্তর্জাতিক ভ্রমণ ওয়েবসাইটের তথ্য অনুসারে, সাম্প্রতিক ছুটিতে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার পর সবচেয়ে বেশি মানুষ যায় থাইল্যান্ডে।
থাই রিয়েল এস্টেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেসাক চুনহারাকচট জানান, ‘থাইল্যান্ডে সম্পত্তি কিনতে চীনের কাছ থেকে অবশ্যই চাহিদা রয়েছে। রাজধানী ব্যাংকক, পাহাড়ি এলাকা চিয়াং মাই, পাতায়ার পূর্ব উপকূলের বিচ রিসোর্ট এবং ইসানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শহরগুলোতে জমি বেচাকেনার জন্য বেশি চাহিদাসম্পন্ন।’
বেশির ভাগ চীনা বাস করার জন্য থাইল্যান্ডে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট কিনতে পছন্দ করে বলে জানান সম্পত্তি বেচাকেনার এজেন্ট ওয়েন ঝু। বসবাসের পাশাপাশি ব্যবসার জন্যও দেশটিতে চীনারা বিনিয়োগ করেন বলে জানান তিনি।