অনলাইন ডেস্ক
মিয়ানমারকে ছয়টি পেট্রল বোট বা টহল নৌযান দিয়েছে চীন। চীনা দূতাবাস গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, চীন মিয়ানমারের সামরিক জান্তাকে ছয়টি টহল নৌযান দিয়েছে। ২০২০ সালে চীন সরকার তৎকালীন গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত বেসামরিক সরকারের কাছে করা প্রতিশ্রুতি পূরণ করতেই এই নৌযানগুলো সরবরাহ করা হয়েছে।
মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম ইরাবতীর প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনে এই পেট্রল বোটগুলো হস্তান্তর করে চীন। চীনা দূতাবাস বলেছে, এগুলো মাদক পাচার, মানব পাচার এবং সাগরে বিভিন্ন ধরনের উদ্ধার অভিযান পরিচালনায় ব্যবহৃত হবে।
তবে নিরাপত্তার কারণে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিয়ানমারের সাবেক এক সেনা কর্মকর্তা রেডিও ফ্রি এশিয়াকে বলেছেন, জান্তা বাহিনী এই পেট্রল বোটগুলো রাখাইন রাজ্যে নৌ-সামরিক অভিযানের জন্যও ব্যবহার করতে পারে। রাখাইন রাজ্যে গত নভেম্বর থেকে জান্তা বাহিনী ও বিদ্রোহী আরাকান আর্মির মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। তিনি বলেছেন, ‘এই নৌযানগুলো একটু পরিবর্তন করা হলে অস্ত্র বসানো যাবে।’
মিয়ানমারের অং সান সুচির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির সরকার ২০১৮ সালে চীনের কাছে এই পেট্রল বোটগুলো দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছিল। চীনা দূতাবাসের তথ্য অনুসারে, এই বোটগুলোর মধ্যে চারটি ১৫৭ ফুট লম্বা এবং বাকি দুটি ৯১ ফুট লম্বা।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের দুই দিনের মিয়ানমার সফরের সময় বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের অধীনে কয়েক বিলিয়ন ডলারের অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। প্রকল্পগুলোর মধ্যে রাখাইন রাজ্যের কায়াকাপায়ুতে ১৩০ কোটি ডলারের গভীর সমুদ্রবন্দর ও অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ৬২০ কিলোমিটারের চীন-মিয়ানমার অর্থনৈতিক করিডর অন্যতম। এই করিডর চীনকে মিয়ানমার হয়ে ভারত মহাসাগরে প্রবেশাধিকার দেবে।