অনলাইন ডেস্ক
জাপানের জনসংখ্যা ধীরে ধীরে কমছে। ফলে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশটিতে অব্যবহৃত ও পরিত্যক্ত বাড়ির সংখ্যাও ধীরে ধীরে বাড়ছে। যেসব বাড়ি খালি পড়ে আছে অর্থাৎ যেসব বাড়িতে বসবাসের কেউ নেই—জাপানে এসব বাড়িকে বলা হয় ‘আকিয়া’। পরিসংখ্যান বলছে, গত দুই দশকে জাপানে এ ধরনের বাড়ির সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার নিক্কেই এশিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে জাপানের খালি বাড়ি বা আকিয়ার সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ৩৫ লাখে। পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত আকিয়ার সংখ্যা হবে প্রায় ৪৭ লাখ।
জাপান সরকার মনে করছে, অব্যবহারের ফলে এই বাড়িগুলো ধীরে ধীরে ক্ষয় হতে থাকবে। এতে নিরাপত্তা এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। তবে এই বিষয়ে সময়োপযোগী এক পরিকল্পনা হাজির করেছে বেসরকারি লজিং অপারেটর সংস্থা এয়ারবিএনবি। খালি হয়ে যাওয়া বাড়িগুলোকে ভ্রমণপিপাসু ও পর্যটকদের বসবাসের জন্য ব্যবহারের চিন্তা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
এয়ারবিএনবি-এর কান্ট্রি ম্যানেজার ইয়াসুয়ুকি তানাবে নিক্কেই এশিয়াকে বলেন, ‘ব্যবসার জন্য আরও আকিয়া ব্যবহার করার উপায় খুঁজতে আমরা বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আকিয়ার সংখ্যা বাড়ছে এবং আরও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।’
ভ্রমণকারীদের থাকার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাড়ি অফার করে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করে এয়ারবিএনবি। সংস্থাটি কোনো খালি বাড়িকে অধিগ্রহণ কিংবা সংস্কার করে না। বরং এটি বাড়ির মালিক কিংবা কর্তৃপক্ষকেই উৎসাহিত করে যেন—বাড়িটি পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় করে তোলা হয়।
তবে ঐতিহ্যবাহী লোকজ বাড়িগুলোকেই এয়ারবিএনবি-এর বেশি পছন্দ। এ ধরনের বাড়িগুলো জাপানে কমিঙ্কা নামে পরিচিত। চলতি বছর জাপানের কমিঙ্কা অ্যাসোসিয়েশনকে ১০ লাখ ডলার দান করেছে সংস্থাটি।
শুধুমাত্র গত অক্টোবরেই জাপানে ২৫ লাখ ২০ হাজার পর্যটক পা রেখেছে। এয়ারবিএনবি-এর জাপান শাখা দাবি করেছে, গত সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া ১২ মাসে এর বুকিং চার বছর আগের তুলনায় ৭৫ শতাংশ বেড়েছে।