থাইল্যান্ডে ভুলবশত মারাত্মক মাদকের মিশ্রণ সেবন করার পর ব্যাংককের একটি হোটেলের কক্ষে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল রেবেকা টার্নারকে। তাই তাঁর পরিবার অবৈধ মাদক সেবন না করার জন্য অন্যদের পরামর্শ দিয়েছে।
মঙ্গলবার বিবিসি জানিয়েছে, ইংল্যান্ডের ইস্ট সাসেক্সের বেক্সহিল-অন-সি এলাকার বাসিন্দা ছিলেন ৩৬ বছর বয়সী রেবেকা। ব্যাংককের ওই হোটেলের কক্ষে প্রেমিকের সঙ্গে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল তাঁকে। রেবেকার পরিবার দাবি করেছে, তাঁরা কোকেন ভেবে বিষাক্ত কোনো মিশ্রণ সেবন করেছিলেন।
রেবেকার বোন লোইস টার্নার এবং বাবা রন টার্নার জানিয়েছেন, থাই কর্তৃপক্ষ তাঁদের জানিয়েছে, রেবেকা ৯টি ভিন্ন ধরনের মাদকের সংমিশ্রণ সেবন করেছিলেন। এর মধ্যে ব্যথানাশক, ঘুমের ওষুধ এবং উদ্বেগ কমানোর ওষুধও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
রন টার্নার বলেন, ‘আমি কখনো ভাবিনি সে মাদক নেবে। একদিন হঠাৎ একটি ফোনকল পেলাম, আমাকে জানানো হলো, সে মারা গেছে। আমি বিশ্বাস করতে পারিনি।’
বিবিসিকে রন জানান, তিনি এখনো মনে করেন রেবেকা ঘরের দরজা ঠেলে ভেতরে প্রবেশ করবে। তাঁর মৃত্যু তাঁর পরিবারকে প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছে।
কন্যার শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয় জানিয়ে রন বলেন, ‘অনেক সময় লাগবে। আমরা কখনো ভুলব না। যখনই তার একটি ছবি দেখি, পুরোনো স্মৃতিগুলো ফিরে আসে। জিনিসগুলো খুব কঠিন হয়ে গেছে।’
জানা গেছে, গত বছরের মার্চে থাইল্যান্ডে এক বন্ধুর বিয়েতে যোগ দেওয়ার পর রেবেকা মারা যান। এ অবস্থায় তাঁর বোন লোইস টার্নার তরুণদের থাইল্যান্ড ভ্রমণের সময় মাদক সেবন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘মানুষকে জানানো খুব প্রয়োজন, মাদক সেবন, এমনকি তা একবারের জন্য হলেও আপনার পুরো জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিতে পারে এবং পরিবার ধ্বংস করে দিতে পারে।’
রেবেকার মৃত্যুর বিষয়ে এখন যুক্তরাজ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। ইস্ট সাসেক্স কাউন্টি কাউন্সিলের ক্রোনার অফিস মামলাটির শুনানির তারিখ নির্ধারণ করবে।