চলতি সপ্তাহেই চীন সফরে যাবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান ‘সীমাহীন বন্ধুত্বকে’ আরও গভীর করতেই চীন সফরে যাচ্ছেন পুতিন—এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা। চীন সফরে পুতিন বেইজিংয়ের আয়োজনে বেল্ট অ্যান্ড ফোরামে যোগ দেবেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ১৭-১৮ অক্টোবর চীনের রাজধানী বেইজিংয়ে বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরাম অনুষ্ঠিত হবে। একটি সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের পাশাপাশি পুতিন এই ফোরামেও অংশ নেবেন। গত বছরের মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর এই প্রথম সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত দেশের বাইরে সফরে গেলেন পুতিন।
এর আগে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকে ইউক্রেনে আক্রমণের ঠিক আগে চীন সফর করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সে সময় তিনি চীন ও রাশিয়ার মধ্যকার বন্ধুত্বকে ‘সীমাহীন’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। এর পর থেকে দুই দেশ নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন খাতে লেনদেন ও সহযোগিতা বাড়িয়েছে।
এদিকে চীন ও রাশিয়া দুই দেশকেই যুক্তরাষ্ট্র নিজের প্রতিদ্বন্দ্বী ও শত্রু বলে ঘোষণা করেছে। চীন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী এবং জাতিরাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় শত্রু রাশিয়া। সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়া-চীন অক্ষের বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের লড়াইকে গণতন্ত্র বনাম স্বৈরশাসকের মধ্যকার লড়াই বলে আখ্যা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও বিল ক্লিনটনের অধীনে সাবেক সহকারী প্রতিরক্ষাসচিব গ্রাহাম অ্যালিসন রয়টার্সকে বলেছেন, ‘গত এক দশকে সি চিন পিং পুতিনের সঙ্গে মিলে বিশ্বের সবচেয়ে ফলপ্রসূ অঘোষিত জোট গড়ে তুলেছেন।’ তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রকে এই অস্বস্তিকর সত্যটি মানতে হবে যে, দ্রুত বর্ধনশীল পদ্ধতিগত প্রতিদ্বন্দ্বী (চীন) ও বিশ্বের বৃহত্তম পারমাণবিক অস্ত্রাগারের মালিক (রাশিয়া) পুনর্গঠনবাদী একক পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতা করার জন্য দৃঢ়ভাবে একত্র হয়েছে।’