আবার আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির নেতা কিম জং-উনের উপস্থিতিতে গত বৃহস্পতিবার এই পরীক্ষা চালানো হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, এর আগে তারা যত ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে, তার মধ্যে এটিই সবচেয়ে শক্তিশালী।
দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রটি ৮৬ মিনিট উড্ডয়নের পর সাগরে গিয়ে পড়ে। কোনো ক্ষেপণাস্ত্র এত দীর্ঘ সময় ধরে ওড়ার রেকর্ড এটি প্রথম।
এর আগে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে উত্তর কোরিয়া। সেটি ৭৩ মিনিট উড়ে প্রায় এক হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়েছিল। এবারের ক্ষেপণাস্ত্রটি কিছু ঊর্ধ্বমুখী করে পরীক্ষার জন্য ছোড়া হয়েছে। তাতে এটি প্রায় সাত হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত উড়ে গেছে। এর অর্থ হচ্ছে, এই ক্ষেপণাস্ত্র যদি আরও নিচু করে ছোড়া হতো, তাহলে আরও বেশি পথ অতিক্রম করত।
জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উত্তর কোরিয়া এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। এই পরীক্ষা এমন সময়ে চালানো হয়েছে, যখন দুই কোরিয়ার মধ্যে সম্পর্ক অবনতির দিকে যাচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়া আগেই সতর্ক করেছিল, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে আসার সময়টিকে কাজে লাগিয়ে উত্তর কোরিয়া আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেছেন, ‘এই পরীক্ষার মাধ্যমে শত্রুদের প্রতি আমাদের জবাব দেওয়ার ইচ্ছা প্রতিফলিত হয়েছে। আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, পারমাণবিক অস্ত্র শক্তিশালী করার জন্য আমাদের যে পদক্ষেপ, তার কখনো পরিবর্তন হবে না।’ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে ‘যথাযথ সামরিক পদক্ষেপ’ হিসেবেও বর্ণনা করেন তিনি।