অস্ট্রেলিয়ায় ধর্ষণের অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছেন শ্রীলঙ্কা জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে খেলা দানুষ্কা গুণতিলকা। গত বছর অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত টি-২০ বিশ্বকাপের সময় ধর্ষণ করেছিলেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে। তবে সিডনির একটি আদালত রায় দিয়েছেন, গুনাথিলাকা কোনো অপরাধ করেননি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে সিডনিতে এক নারীর সঙ্গে ডেটিং অ্যাপ টিন্ডারের মাধ্যমে পরিচিত হন গুনাথিলাকা। পরে সেই নারীর বাড়িতে তাঁরা অন্তরঙ্গ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। সে সময় গুনাথিলাকা ধর্ষণ করেছেন বলে উল্লেখ করে একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছিল। বিচারক সেগুলো খারিজ করে দিয়েছেন।
তবে গুনাথিলাকার বিরুদ্ধে এখনো একটি অভিযোগ বিচারাধীন। সেটি হলো, তিনি তাঁর সঙ্গীর অনুমতি ছাড়াই যৌন মিলনের সময় কনডম ব্যবহার থেকে বিরত ছিলেন। বিষয়টির এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।
নিউ সাউথ ওয়েলস জেলা আদালতে চার দিন ধরে চলা বিচার কার্যক্রমের সময় সাক্ষ্য দিতে গিয়ে অভিযোগকারী বলেন, তিনি কেবল সুরক্ষিত যৌনতার জন্য সম্মতি দিয়েছিলেন, কিন্তু মিলনের কিছুক্ষণ পর তিনি মেঝেতে কনডম পড়ে থাকতে দেখেন।
উল্লেখ্য, মাত্র পাঁচ মাস আগেই নিউ সাউথ ওয়েলসে সঙ্গীর সম্মতি ছাড়া কনডম অরক্ষিত যৌনতাকে অপরাধ বলে ঘোষণা করে নতুন আইন করা হয়। এই অঞ্চলে গুনাথিলাকাই এই আইনে মামলায় অভিযুক্ত হওয়া প্রথম ব্যক্তি।
উল্লেখ্য, যৌন নিপীড়নের অভিযোগে সিডনির এক হোটেল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় গুনাথিলাকাকে। অভিযোগে জানানো হয়, গুনাথিলাকা কয়েক দিন আগে এক অনলাইন ডেটিং অ্যাপ্লিকেশনে ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আর ২ নভেম্বর সন্ধ্যায় যৌন নিপীড়ন করেন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে শ্রীলঙ্কা স্কোয়াডের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ায় যান গুনাথিলাকা। চোটে পড়ার পরও তাঁকে দেশে ফেরত না পাঠিয়ে স্কোয়াডের সঙ্গেই রেখে দেয় টিম ম্যানেজমেন্ট। ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ায় রোববার সকালে গুনাথিলাকাকে রেখেই অস্ট্রেলিয়া ছাড়ে শ্রীলঙ্কা। পরে তাঁকে সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করে শ্রীলঙ্কা।
গুনাথিলাকা শ্রীলঙ্কার হয়ে ৮টি টেস্ট, ৪৭টি ওয়ানডে ও ৪৬টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। ২০১৫ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় তাঁর।