Ajker Patrika
হোম > বিশ্ব > এশিয়া

গণতন্ত্রের প্রতীক আফগান নারী কৌঁসুলিরা এখন স্পেনের শরণার্থী

অনলাইন ডেস্ক

গণতন্ত্রের প্রতীক আফগান নারী কৌঁসুলিরা এখন স্পেনের শরণার্থী

স্পেনের মাদ্রিদে একটি রৌদ্রোজ্জ্বল শীতের সকালে খেলার মাঠে ছেলেকে দোলনায় দোল দিচ্ছিলেন ওবাইদা শারার। সেখানে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সঙ্গে আলাপকালে স্পেনে আশ্রয় পাওয়া নিয়ে স্বস্তির কথা জানান সাবেক এই আফগান কৌঁসুলি। তালেবান দখল নেওয়ার পরপরই আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। 

স্পেনে আশ্রয় পাওয়া ১৯ নারী কৌঁসুলির একজন শারার। তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রথমে পাকিস্তান ও পরে মাদ্রিদে আসেন তিনি। স্বস্তিতে থাকলেও দেশে থেকে যাওয়া একসময়ের সহকর্মীদের বর্তমান কষ্টের কথা ভেবে নিজেকে একটু স্বার্থপরই বললেন শারার। তিনি বলছিলেন, ‘অধিকাংশ আফগান নারী ও মেয়ে তাঁদের পড়াশোনা, স্বাভাবিক সামাজিক জীবনযাপন করার অধিকার থেকে বঞ্চিত। এটা ভাবলে আমি আর ভালো থাকতে পারি না।’ 

২০২১ সালের আগস্টে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলে নেয় তালেবান। এরপর নারী বিচারক ও কৌঁসুলিদের হুমকি দেওয়া এবং আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছিল শাসকগোষ্ঠী। কারণ ওই নারীরা ধর্ষণ ও হত্যার মতো অপরাধে অভিযুক্ত পুরুষদের বিচার কার্যক্রমের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। একসময় যে তালেবান সদস্যদের বিভিন্ন অপরাধে শাস্তি দিয়েছিলেন, তাঁদের হাত থেকে বাঁচতেই পালিয়ে বেড়াতে হয় আফগানিস্তানের নারী বিচারক ও কৌঁসুলিদের। 

এমন ৩২ জন নারী বিচারক ও কৌঁসুলির একটি দলের অংশ ছিলেন শারার, যাঁরা আফগানিস্তান ছেড়ে অন্য দেশে আশ্রয় খোঁজার চেষ্টায় এক বছর পর্যন্ত পাকিস্তানে ছিলেন। 

নারী বিচারক ও কৌঁসুলিদের হুমকি দেওয়া এবং আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছিল তালেবানএস এম (নামের আদ্যক্ষর) নামে আরেক নারী কৌঁসুলির সঙ্গেও কথা হয় রয়টার্সের। নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কারণে আফগানিস্তান ছেড়েছিলেন তিনি। এস এম বলেন, ‘নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতার বিরুদ্ধে কাজ করছিলাম আমি। আমার প্রদেশে একমাত্র নারী কৌঁসুলি ছিলাম। তালেবান সদস্যদের এবং অপরাধীদের কাছ থেকে হুমকি এসেছিল, যাদের আমি কারাগারে পাঠিয়েছিলাম।’ 
 
এ বিষয়ে স্প্যানিশ আইনজীবী ও আইনজীবীদের সুরক্ষাদানকারী একটি বেসরকারি সংস্থার প্রেসিডেন্ট ইগনাসিও রদ্রিগেজের সঙ্গে কথা বলে রয়টার্স। রদ্রিগেজ বলেন, আফগানিস্তানে যে নারীরা গণতান্ত্রিক সাফল্যের প্রতীক হয়ে উঠেছিলেন, তাঁরা এখন ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছেন। 

এদিকে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) বলছে, নির্দিষ্ট কোনো ক্ষেত্র নিয়ে মন্তব্য করার অবস্থানে নেই তাঁরা। তবে এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, ‘পাকিস্তান সরকার আফগানিস্তান থেকে নতুন করে আসাদের শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে রাজি হয়নি। ২০২১ সাল থেকে ইউএনএইচসিআর বিপদে পড়া আফগানদের সহায়তার ব্যবস্থা ও প্রক্রিয়া নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছে। দুঃখের বিষয়, কোনো অগ্রগতি হয়নি।’ 

এ বিষয়ে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। 

এদিকে তালেবান বলছে, ২০২১ সালে তারা ক্ষমতা নেওয়ার পর থেকে যেসব আফগান দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, তারা একটি প্রত্যাবাসন কাউন্সিলের মাধ্যমে নিরাপদে ফিরে আসতে পারবে। আফগানিস্তান সব আফগানের যৌথ আবাস বলেও দাবি করে শাসকগোষ্ঠী। 

দীর্ঘ চুম্বনে দুইবার বিশ্ব রেকর্ড গড়া দম্পতির বিচ্ছেদ

যুক্তরাষ্ট্রে ১০০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে বিশ্বের বৃহত্তম চিপ নির্মাতা টিএসএমসি

নারী শিক্ষা প্রচারের অভিযোগে আফগান অধিকারকর্মীকে গ্রেপ্তার

যার রক্ত ২৪ লাখ শিশুর জীবন বাঁচিয়েছে, তিনি আর নেই

পরমাণু শক্তিধর হতে চেয়েছিল তাইওয়ান, সিআইএ এজেন্টের বিশ্বাসঘাতকতায় স্বপ্নভঙ্গ

রাখাইনে জান্তার শেষ বড় নৌঘাঁটিতে আরাকান আর্মির হামলা

প্রযুক্তি, বৈচিত্র্যে টোকিওর ভবিষ্যৎ গড়ে দিচ্ছেন নারীরা

আঞ্চলিক সহযোগিতা: মধ্যপ্রাচ্যে নজর দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর

২০২৫ সালে বিশ্বসেরার খেতাব পেল এই ক্যাফে

মালয়েশিয়ায় কুকুরের ওপর নির্যাতনের অভিযোগে বাংলাদেশি গ্রেপ্তার