ঢাকা: মার্কিন কোম্পানি ফাইজারের টিকা নেওয়ার পর ইসরায়েলের কিছু ব্যক্তি হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। আর এদের মধ্যেই বেশির ভাগই তরুণ। গতকাল মঙ্গলবার ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এমনটি বলা হয়েছে।
ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ফাইজারের ভ্যাকসিনের সঙ্গে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাব্য সংযোগ রয়েছে। মায়োকার্ডিটিস নামের রোগটি প্রদাহ ফাইজারের ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে। এই রোগ হৃদ্যন্ত্রের প্রদাহ তৈরি করে।
ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানায়, ইসরায়েলের ৫০ লাখ মানুষ ভ্যাকসিন পেয়েছেন। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত মায়োকার্ডিটিসে আক্রান্ত ২৭৫ জন রোগী পাওয়া গেছে। মায়োকার্ডিটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণ ফাইজারের ভ্যাকসিন কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ইসরায়েলি সরকারের গবেষণায় বলা হয়, যারা মায়োকার্ডিটিসে আক্রান্ত হয়েছেন তাঁরা চার দিনের বেশি সময় হাসপাতালে ছিলেন। আর ওই রোগীদের ৯৫ শতাংশের অসুস্থতা গুরুতর ছিল না।
একটি বিবৃতিতে ইসরায়েল সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ফাইজারে ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ১৬ থেকে ৩০ বছর বয়সীরা মায়োকার্ডিটিসে আক্রান্ত হয়েছেন। ফাইজারের দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিনের সঙ্গে হৃদরোগটির সম্ভাব্য সংযোগ রয়েছে।
ইসরায়েল সরকারের গবেষণা উল্লেখ করা হয় যে মায়োকার্ডিটিসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ১৬ থেকে ১৯ বছর বয়সীরাই বেশি।
একটি বিবৃতিতে ফাইজারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইসরায়েলে মায়োকার্ডিটিসের বিষয়ে তাঁরা অবগত আছে। তবে ভ্যাকসিনের সঙ্গে এর কোনো সংযোগ নেই।
গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রও (সিডিসি) ফাইজার এবং মডার্নার ভ্যাকসিনের সঙ্গে মায়োকার্ডিটিসের সংযোগ রয়েছে কিনা তা নিয়ে গবেষণার জন্য পরামর্শ দিয়েছিল।
ইসরায়েলে এ পর্যন্ত ৫৫ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েল সরকারের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত পুরো দেশটিতে মাত্র ৩৪০ জন সক্রিয় করোনা রোগী ছিল।