সহপাঠীর হত্যাকাণ্ডে কিশোরকে যাবজ্জীবন সাজা দিলেন চীনের আদালত

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯: ১০
ছবি: বিবিসি

চীনের একটি আদালত সহপাঠীর মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত দুই কিশোরকে শাস্তি দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছিল এই বছরের মার্চ মাসে।

হেবেই প্রদেশের আদালতের বিবৃতিতে জানানো হয়, ঝাং এবং লি পদবিধারী অভিযুক্ত দুই কিশোর তাদের ১৩ বছর বয়সী সহপাঠী ওয়াংকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। তাদের উদ্দেশ্য ছিল ওয়াংয়ের অর্থ আত্মসাৎ করা।

পরিকল্পনা অনুযায়ী, ওয়াংকে সবজি চাষের জন্য তৈরি একটি পরিত্যক্ত গ্রিনহাউসে নিয়ে যায় ঝাং এবং লি। পরে শাবল দিয়ে আক্রমণ করে সেখানেই হত্যা করা হয় তাঁকে। শুধু তাই নয়, পরিত্যক্ত ওই গ্রিনহাউসের ভেতরেই মাটিতে পুঁতে রাখা হয় ওয়াংয়ের মরদেহটি।

আদালত এই ঘটনাকে ‘অত্যন্ত নিষ্ঠুর এবং নিন্দনীয়’ বলে বর্ণনা করেছেন। এই অপরাধে ঝাংকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং লি-কে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আদালত জানিয়েছেন, ওয়াং দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে সহপাঠীদের দ্বারা নিপীড়নের শিকার হচ্ছিলেন। বিশেষ করে ঝাং এবং লি-এর সঙ্গে তার মতবিরোধ ছিল।

গত ৩ মার্চ ঝাং একটি স্কুটারে করে ওয়াংকে ওই গ্রিনহাউসে নিয়ে গিয়েছিল। আর লি এবং মা নামে আরেক কিশোর আলাদা একটি স্কুটারে সেখানে পৌঁছায়। পথে মা-কে লি জানায়, ওয়াংকে হত্যার পরিকল্পনা করেছে ঝাং।

গ্রিনহাউসে পৌঁছেই ঝাং শাবল দিয়ে ওয়াংয়ের ওপর আক্রমণ শুরু করে এবং লি তাকে সহায়তা করে। ঘটনাটি দেখে মা সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

ঝাং এবং লি পরে ওয়াংকে কবর দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সরে যায়। তারা ওয়াংয়ের ফোন ব্যবহার করে তার উইচ্যাট অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা নিজেদের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করে।

পরবর্তীতে তদন্তের সময় পুলিশকে হত্যাকাণ্ডের স্থানে নিয়ে গিয়েছিল মা।

আদালত ঝাং-কে মূল অপরাধী হিসেবে উল্লেখ করে জানান, সে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল এবং অন্যদের এতে জড়িত করেছিল। রায়ে লি-কে অপরাধে সহায়তা ও অর্থ ভাগাভাগির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।

এই ঘটনায় মা-কে শাস্তি না দিয়ে সংশোধন এবং শিক্ষা কার্যক্রমের আওতায় আনা হয়েছে। চীনে কিশোর অপরাধীদের জন্য সাধারণত এই শাস্তি ব্যবহৃত হয়।

বিশ্বের প্রবীণতম ব্যক্তি তোমিকো আর নেই

মালয়েশিয়ায় ‘ঈর্ষার বশবর্তী’ হয়ে ইন্দোনেশীয় নারীকে খুন, বাংলাদেশি তরুণ গ্রেপ্তার

আরও ৫৮৬৪ বন্দীকে মুক্তি দিচ্ছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার

রেডিও ফ্রি এশিয়ার প্রতিবেদন

রাখাইনের নিয়ন্ত্রণ আরাকান আর্মির হাতে, তবু ফিরতে পারছে না রোহিঙ্গারা