ঢাকা: ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস প্রধানের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল । আজ রোববার এই হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
জানা গেছে, ইয়াহইয়া আল সিনওয়ার ২০১৭ সাল থেকে গাজায় হামাসের রাজনৈতিক ও সামরিক শাখার নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। তবে হামলায় এই নেতার কোনো ক্ষতি হয়েছে কীনা বা তিনি হামলার সময় বাড়িতে অবস্থান করছিলেন কীনা তা নিশ্চিত করা হয়নি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার সকালের দিকেও বিমান হামলা চালিয়েছি ইসরায়েলি বাহিনী। এতে নতুন করে আরও চার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ডজন খানেক। ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনের কমপক্ষে দু’টি আবাসিক ভবন ধসে পড়েছে।
গতকাল শনিবার গাজায় হামলা চালিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা ও যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) কার্যালয় ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। আল-জালা নামের ১২ তলা বিশিষ্ট ভবনটিতে আল-জাজিরা, এপিসহ কিছু মিডিয়া অফিসের কার্যালয় ছিল। ছিল কিছু আবাসিক অ্যাপার্টমেন্টও।
এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে আল জাজিরা এবং এপি। একটি বিবৃতিতে বার্তা সংস্থা এপির পক্ষ থেকে বলা হয়, এই ভবনটিতে ১৫ বছর ধরে এপির ব্যুরো অফিস ছিল। হামাস সদস্যরা যে এই ভবনে রয়েছে এমন কোনো ইঙ্গিত আমাদের কাছে ছিল না।
আল-জাজিরা ও এপির কার্যালয়ে হামলার পেছনে অজুহাত দিয়ে ইসরায়েল বলছে, এ ভবনের সাথে হামাসের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।
এ ঘটনার পর আলাদাভাবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ও ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন জো বাইডেন। নেতানিয়াহুর সাথে কথোপকথনে ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থন জানান বাইডেন।
গাজাকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহ থেকে শুরু হওয়া সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত হামাস ইসরায়েলের দিকে ২ হাজারেরও বেশি রকেট ছুড়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এর পাল্টায় ইসরায়েলও একের পর এক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। সংঘর্ষে ৩৯ শিশুসহ অন্তত ১৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনি চিকিৎসকরা। হামাসের রকেটে ইসরায়েলে ২ শিশুসহ ৯ জনের প্রাণ গেছে বলে জানিয়েছে তেল আবিব।