হোম > বিশ্ব > এশিয়া

অল্পের জন্য প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী পেল না জাপান, নতুন প্রধানমন্ত্রী কে এই ইশিবা

অনলাইন ডেস্ক

জাপানের পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতৃত্বে ভোটাভুটির মাধ্যমে জয়ী হয়ে দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন শিগেরু ইশিবা। এর আগে তিনি জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। 

গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আজ শুক্রবার একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে ভোটে জয়ী হন ৬৭ বছর বয়সী ইশিবা। ভোটাভুটিতে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জাপানের অর্থনৈতিক নিরাপত্তামন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি। এর আগে দিনের শুরুতে প্রথম রাউন্ডের ভোটে ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে কেউই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে সক্ষম হননি। পরে সবচেয়ে বেশি ভোট পাওয়া দুই প্রার্থীর মধ্যে ভোট অনুষ্ঠিত হয়। 

ভোটের ফলাফলে দেখা গেছে, সানাইয়ে তাকাইচির সঙ্গে ২১৫-১৯৪ ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন ইশিবা। তাঁর বিজয় সম্পর্কে টোকিও থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক রব ম্যাকব্রাইড বলেছেন, ‘এটি ইশিবার জন্য একটি অসাধারণ বিজয়। এলডিপির একজন অভিজ্ঞ নেতা বলে মনে করা হয় তাঁকে। এলডিপির শীর্ষ পদ পেতে এটি ছিল তাঁর পঞ্চম প্রচেষ্টা।’ 

এদিকে ইশিবার সঙ্গে ভোটাভুটিতে জিতে গেলে তাকাইচি হতেন জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সম্পর্কে ম্যাকব্রাইড বলেছেন, ‘তিনি একজন স্বনামধন্য, ডানপন্থী এবং হাকিস ব্যক্তিত্ব। জয়ী হলে তিনি শুধু এলডিপি নয়, প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাপানেও ইতিহাস সৃষ্টি করতেন।’ 

উল্লেখ্য, পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠ দল এলডিপির মধ্যে একাধিক দুর্নীতি ও কেলেঙ্কারির অভিযোগে প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা গত আগস্টে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন।

রয়টার্স জানিয়েছে, শিগেরু ইশিবা ১৯৮৬ সালে একটি সংক্ষিপ্ত ব্যাংকিং ক্যারিয়ারের পর জাপানের সংসদে প্রবেশ করেছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি নিজ দলের মধ্যেই ভিন্নমতের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠেন। ইতিপূর্বে তিনি পারমাণবিক শক্তির বর্ধিত ব্যবহার নীতির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন। শুধু তা–ই নয়, বিবাহিত দম্পতিদের আলাদা উপাধি ব্যবহার করার অনুমতি না দেওয়ার জন্য তিনি তাঁর দলের সমালোচনা করেছিলেন। 

বিজয়ের পর একটি সংক্ষিপ্ত ভাষণে ইশিবা বলেন, ‘আমি নিঃসন্দেহে অনেকের অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছি। অপ্রীতিকর অভিজ্ঞতার সৃষ্টি করেছি এবং অনেককে কষ্ট দিয়েছি। আমি আমার সমস্ত ত্রুটির জন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।’ 

শুধু প্রতিরক্ষামন্ত্রী নয়, অতীতে কৃষিমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন ইশিবা। এলডিপির একজন হেভিওয়েট বুদ্ধিজীবী এবং জাতীয় নিরাপত্তা নীতির বিশেষজ্ঞ হিসেবে তিনি আরও দৃঢ় প্রতিরক্ষামূলক জাপানের পক্ষে কথা বলেন। তাঁর এমন মনোভাব প্রতিরক্ষার জন্য দীর্ঘদিনের মিত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওপর জাপানের নির্ভরতা কমাতে পারে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, ইশিবার আমলে ওয়াশিংটনের সঙ্গে টোকিওর সম্পর্ক কিছুটা জটিল হতে পারে। 

প্রচারণার সময় ইশিবা একটি ‘এশিয়ান ন্যাটো’ গঠনে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য জাপানকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। তবে এটি এমন একটি ধারণা, যা ওয়াশিংটনের দ্বারা ইতিপূর্বে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। 

সম্প্রতি ইশিবা বলেছিলেন, জাপানের ওকিনাওয়াতে, যেখানে বেশির ভাগ মার্কিন সৈন্য মোতায়েন রয়েছেন এবং তাঁরা যেসব ঘাঁটি ব্যবহার করছেন, সেগুলোর ওপর তিনি আরও বেশি নজরদারি চালাবেন। 

এই সপ্তাহেই ইউটিউবে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে ইশিবা বলেছেন, ‘নীতি ও রাজনৈতিক অবস্থান মিলে না গেলে রাজনীতিবিদদের সেরা বন্ধু হওয়ার প্রয়োজন নেই।’

দীর্ঘজীবনের গোপন রহস্য জানালেন ১২৪ বছর বয়সী চীনা নারী

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অস্ত্র পাচারের চেষ্টা, মিজোরামে আটক ৫

২০২৪ সালে জাপান ভ্রমণ করেছে রেকর্ড ৩ কোটি ৭০ লাখ পর্যটক

অবশেষে গ্রেপ্তার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

রাশিয়ায় উ. কোরীয় সেনাদের ‘অবমূল্যায়নের সুযোগ নেই’

ভেসে আসছে রহস্যময় বল, সিডনির ৯ সৈকত বন্ধ

‘মৃত্যুর পর কী হয়’, আত্মহত্যার আগে গুগলে সার্চ করেছিল কিশোর

ইসলাম অবমাননার অভিযোগে শ্রীলঙ্কায় বৌদ্ধ ভিক্ষুর ৯ মাসের কারাদণ্ড

তালেবানকে বৈধতা না দিতে মুসলিম নেতাদের প্রতি মালালার আহ্বান

১০০ বছর আগে নারীঘটিত যে খুন কাঁপিয়ে দিয়েছিল ব্রিটিশ ভারতের রাজনীতি

সেকশন