ফিলিপাইনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন দেশটির বিদায়ী প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তের বড় মেয়ে সারা দুতার্তে। শপথ নেওয়ার পর দাভাও শহরের এক অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দিতে গিয়ে ফিলিপাইনকে ঐক্যবদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
৪৪ বছর বয়সী সারা দশ বছর আগে তাঁর বাবার কাছ থেকে দাভাও শহরের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। পরে তিনি জাতীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন।
বিবিসি জানিয়েছে, শপথ নেওয়ার সময় সারার পাশে ছিলেন ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। ফার্দিনান্দ খুব শিগগিরই সারার বাবা রদ্রিগোর স্থলাভিষিক্ত হবেন।
শপথ নেওয়ার পর সারা দুতার্তে বলেন, ‘আগামী দিনগুলো চ্যালেঞ্জপূর্ণ হতে পারে। তাই জাতি হিসেবে আমাদের আরও ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’
আগামী ৩০ জুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। ফিলিপাইনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আলাদাভাবে অনুষ্ঠিত হয়। গত মে মাসের নির্বাচনে সারা দুতার্তে ও ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র—দুজনেই নির্বাচিত হয়েছেন।
গত মাসে রদ্রিগো দুতার্তে বলেছিলেন, তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনে দাঁড়াবেন। কিন্তু পরে সিদ্ধান্ত পাল্টে রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দেন। রোববারের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি তাঁর মেয়ের পাশে ছিলেন।
ফিলিপাইনে প্রতি ৬ বছর পর পর প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সংবিধান অনুযায়ী, ফিলিপাইনে এক মেয়াদের বেশি প্রেসিডেন্ট থাকার নিয়ম নেই। সংগত কারণে দুতার্তের প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করার সুযোগ ছিল না।
২০১৬ সালে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নিয়েছিলেন রদ্রিগো দুতার্তে। তখন তিনি অপরাধ দমন ও মাদকের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপর ক্ষমতার আসনে বসেই ‘মাদকবিরোধী যুদ্ধ’ শুরু করেছিলেন তিনি। তাঁর এই অভিযান দেশে-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছিল। এ ছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে বিচারবহির্ভূতভাবে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করার অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের তদন্ত করছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।