আশরাফ গনির সরকারকে হটিয়ে গত ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের দখল নেয় তালেবান। কাবুলের প্রেসিডেন্ট প্যালেস দখলে নিয়ে ক্ষমতার মসনদে বসে সশস্ত্র এই গোষ্ঠী। প্রায় পুরো আফগানিস্তান তালেবানের দখলে থাকলেও এখনো পাঞ্জশির প্রদেশ তালেবানের নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে। নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা পাঞ্জশির প্রদেশ দখলে নিতে রওনা হয়েছে তালেবানের কয়েকশ যোদ্ধা। খবর আল জাজিরার।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঞ্জশির প্রদেশ ঐতিহ্যগতভাবেই তালেবানবিরোধী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। তালেবান যখন কাবুলে ঢুকে পড়ে তখন দেশটির সাবেক সরকারি বাহিনীর সেনারা কাবুলের উত্তরে অবস্থিত পাঞ্জশির উপত্যকায় জড়ো হন।
রোববার এক টুইট বার্তায় তালেবান জানায়, ‘স্থানীয় প্রাদেশিক কর্মকর্তারা শান্তিপূর্ণভাবে ওই এলাকা হস্তান্তর করতে প্রত্যাখ্যান করায় ইসলামিক আমিরাতের শত শত মুজাহিদীন পাঞ্জশিরের দখল নিতে উপত্যকাটির দিকে রওনা হয়েছেন।’
বর্তমানে পাঞ্জশিরের দখল রয়েছে তালেবানবিরোধী নেতা আহমেদ মাসুদের হাতে। আহমেদ মাসুদের বাবা আশির দশকে সোভিয়েতবিরোধী প্রতিরোধের সময় আফগানিস্তানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন। তাঁর বাবার নাম শাহ মাসুদ।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে আহমেদ মাসুদ বলেন, ‘এগিয়ে যাওয়ার একমাত্র উপায় হচ্ছে শান্তিপূর্ণ আলোচনা। এর কোনো বিকল্প নেই। আমরা তালেবানকে এটাই বোঝাতে চাই। আমরা কোনো যুদ্ধ চাই না। তবে তালেবান যদি আক্রমণ করে তাহলে আমার বাহিনীও যুদ্ধ করতে প্রস্তুত রয়েছে।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছর এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই আফগানিস্তান দখলে নিতে শুরু করে তালেবান।