শ্রীলঙ্কার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন রনিল বিক্রমাসিংহে। স্থানীয় সময় শুক্রবার তিনি শ্রীলঙ্কার প্রধান বিচারপতি জয়ন্ত জয়সুরিয়ার সামনে শপথ নিয়েছেন। লংকান প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিবৃতির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত তিনি অন্তর্বর্তীকালীন হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেছে, শপথ গ্রহণের পরে রনিল বিক্রমাসিংহে সর্বদলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য ঐকমত্য গড়ে তুলতে সংসদ সদস্যদের প্রতি অনুরোধ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘সাংবিধানিক সমন্বয়ের মাধ্যমে সংসদের ক্ষমতা শক্তিশালী করতে কাজ করব।’
এদিকে শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধনে বলেছেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে শ্রীলঙ্কা একজন নতুন প্রেসিডেন্ট পাবে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে তিনি ২০ জুলাইয়ের কথা বলেছেন।
কয়েক মাস ধরে চলা গণবিক্ষোভের মুখে গত মঙ্গলবার দেশ ছেড়ে প্রথমে মালদ্বীপে পালিয়ে যান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে। পরে সৌদি এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে চেপে তিনি সিঙ্গাপুরে গেছেন। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁকে বহনকারী উড়োজাহাজটি সিঙ্গাপুরে পৌঁছার পর তিনি ই-মেইলে শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্টের স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠান। স্পিকার জানিয়েছেন, তাঁর পদত্যাগপত্রটি গৃহীত হয়েছে।
মালদ্বীপে পালিয়ে যাওয়ার আগে গোতাবায়া রাজাপক্ষে রনিল বিক্রমাসিংহেকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট নিযুক্ত করে গিয়েছিলেন। এরপর আজ তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন। এর আগে ১২ মে শ্রীলঙ্কায় নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন রনিল বিক্রমাসিংহে। তিনি ইউনাইটেড ন্যাশনাল পার্টির (ইউএনপি) এই নেতা। ষষ্ঠবারের মতো তিনি শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছিলেন।
স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, মূল্যস্ফীতি ও সীমাহীন দুর্নীতির জন্য রাজাপক্ষে পরিবারকে দায়ী করে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষ। কয়েক মাস ধরে চলমান বিক্ষোভের সময় বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্টের বাসভবন দখল করে উল্লাস করেছে।