অনলাইন ডেস্ক
জাপানের উপকূলে দক্ষিণ কোরিয়ার পতাকাবাহী একটি ট্যাংকার ডুবে অন্তত আটজন নাবিক মারা গেছেন। এ ছাড়া নিখোঁজ আছেন আরও দুজন। তাদের উদ্ধারের প্রচেষ্টা চলছে। টোকিওর কর্মকর্তাদের বরাতে খবরটি দিয়েছে তুরস্কভিত্তিক সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।
স্থানীয় সময় আজ বুধবার জাপানের রাজধানী টোকিও থেকে এক হাজার কিলোমিটার দূরের মুত্সুরেজিমা দ্বীপের কাছে উত্তাল সমুদ্রে ১১ জন নাবিকসহ উল্টে যায় দক্ষিণ কোরিয়ার রাসায়নিক পণ্যবাহী ট্যাংকার কেইয়ংসান।
এর আগে জাপানের কোস্ট গার্ডের বরাতে জাপানি বার্তা সংস্থা এনএইচকে বলেছিল যে, তারা ১১ জন নাবিকের মধ্যে ছয়জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সংখ্যা সংশোধন করা হয়।
রাসায়নিক পণ্যবাহী ট্যাংকারটি আজ ভোরে জাপানের পশ্চিম ইয়ামাগুচি প্রদেশে জাপানের কোস্ট গার্ডকে বিপদে পড়ার সংকেত পাঠিয়েছিল। ভারী বাতাসে ট্যাংকারটি নোঙর করতে বাধ্য হয়। একপর্যায়ে উত্তাল সমুদ্রে কাত হতে হতে ডুবে যায় কেইয়ংসান।
ট্যাংকারটির নাবিকদের মধ্যে ছিলেন দুজন দক্ষিণ কোরীয়, আটজন ইন্দোনেশীয় এবং একজন চীনের নাগরিক।
পরবর্তীতে কোস্টগার্ড জানায় একজন ইন্দোনেশিয়ানকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছেন তারা। তবে উদ্ধারকৃত অপরজন জীবিত নাকি মৃত তা নিশ্চিত করতে পারেননি তারা।
কোস্টগার্ড জানিয়েছে, যখন তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তখন জাহাজটি পুরোপুরি ডুবে গিয়েছিল। এসআইকের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, জাহাজটির উপরের অংশ পুরোপুরি পানির নিচে চলে গেছে। আর নিচের অংশটি উপরে ওঠে গেছে।
একটি বিমান এবং একটি টহল জাহাজ মুত্সুরেজিমার পশ্চিমে সমুদ্রে এখনো অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। মুত্সুরেজিমা মূলত একটি দ্বীপ যা জাপানের প্রধান হোনশু দ্বীপের শিমোনোসেকি শহরের অংশ।