অনলাইন ডেস্ক
ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম সুমাত্রায় অবস্থিত মাউন্ট মারাপিতে অগ্ন্যুৎপাতের ঘটনায় উদ্ধারকর্মীরা আরও ৯টি মরদেহ উদ্ধার করেছে। এতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২২। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
গত রোববার মাউন্ট মারাপি আগ্নেয়গিরিতে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। সোমবার নাগাদ ১১টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এরপর আবারও অগ্ন্যুৎপাত শুরু হলে নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকির কারণে উদ্ধারকাজ স্থগিত ছিল। নিখোঁজ ১০ জনকে খুঁজে বের করতে গতকাল মঙ্গলবার শুরু হয় উদ্ধার অভিযান।
স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১০ জনের মধ্যে ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন একজন। অগ্ন্যুৎপাতে আহত ১২ পর্বতারোহী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মারাপির পর্যবেক্ষণপ্রধান আহমেদ রিফানদি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, গতকাল মঙ্গলবারেই কেবল সেখানে পাঁচবার অগ্ন্যুৎপাত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘মারাপি এখনো দারুণ সক্রিয় আগ্নেয়গিরি। মেঘের কারণে আমরা অগ্ন্যুৎপাতের উচ্চতা দেখতে পারিনি।’
উদ্ধারকারীরা বিবিসিকে বলেছেন, নিখোঁজ পর্বতারোহীর সন্ধানে অপেক্ষাকৃত পরিষ্কার আবহাওয়ার সুবিধা কাজে লাগাতে চাইছেন তাঁরা। শেষ নিখোঁজ পর্বতারোহীর সন্ধানের প্রচেষ্টা আজ বুধবার ফের শুরু হওয়ার কথা।
৭৫ জন পর্বতারোহী গত শনিবার প্রায় ২,৯০০ মিটার (৯,৪৮০ ফুট) উঁচু মাউন্ট মারাপিতে আরোহণ শুরু করেছিলেন। এরপর রোববার শুরু হয় অগ্ন্যুৎপাত।
রোববারের অগ্ন্যুৎপাতের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, আকাশজুড়ে আগ্নেয়গিরির ছাইয়ের বিশাল মেঘ ছড়িয়ে পড়েছে। ছাইয়ে ঢেকে গেছে গাড়ি ও রাস্তাগুলো। আগ্নেয়গিরিতে থাকা পর্বতারোহীরা এতে আটকে যান। হতাহতের ঘটনাও ঘটে। আগ্নেয়গিরির ছাই ছড়িয়ে পড়েছে আশপাশের কয়েকটি গ্রামে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ার ১২৭টি সক্রিয় আগ্নেয়গিরির মধ্যেও মাউন্ট মারাপি পর্বতারোহীদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। মাউন্ট মারাপি অর্থ ‘আগুনের পর্বত’। জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অগ্ন্যুৎপাতের পর গত জুনেই পর্বতারোহীদের জন্য ফের খুলে দেওয়া হয় এর ট্রেইল।
মাউন্ট মারাপির ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছিল ১৯৭৯ সালে। সেবার ৬০ জন মারা গিয়েছিল।