যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরি ইসরায়েলের কাছে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণায় ওয়াশিংটনের সমালোচনা করে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, এই রণতরি গাজায় ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞ চালাবে। গতকাল মঙ্গলবার আঙ্কারায় সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরি ইসরায়েলের কাছে কী করবে? কেন তারা আসবে? রণতরীর চারপাশে নৌযানগুলোই বা কী করবে? বিমানগুলো গাজা ও এর আশপাশে আঘাত হানবে এবং সেখানে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালাবে।’
গত শনিবার ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস ইসরায়েলে অতর্কিত হামলা চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষাসচিব লয়েড অস্টিন বলেন, ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ডসহ যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি বিমানবাহী রণতরিকে ইসরায়েলের কাছাকাছি সরিয়ে নেওয়া হবে।
এর আগে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি বাহিনীর মধ্যে শান্তি আলোচনায় মধ্যস্থতার প্রস্তাব দেন এরদোয়ান। ফিলিস্তিনিদের সমর্থন ও হামাসের সদস্যদের আশ্রয় দেওয়ার পাশাপাশি বিরোধের সমাধান হিসেবে দুটি আলাদা রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাবকে সমর্থন দিয়ে আসছে তুরস্ক।
ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের মধ্যে বছরের পর বছর ধরে চলা সংঘাত বন্ধ করে শান্তি স্থাপনেও কাজ করেছে আঙ্কারা।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলে হামাসের হামলাকে ‘স্পষ্ট শয়তানি কাজ’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাইডেন জানান, যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে সামরিক সহায়তা দ্রুত নিশ্চিত করতে কাজ করতে যাচ্ছে। এ সময় তিনি জানান, বিভিন্ন ধরনের গোলাবারুদসহ আয়রন ডোম আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ইসরায়েলকে দেওয়া হবে।
এই অঞ্চলে যেকোনো ধরনের যুদ্ধপরিস্থিতি এড়াতে যুক্তরাষ্ট্র সামরিক উপস্থিতি বাড়িয়েছে বলেও জানা গেছে। বিশেষ করে ইসরায়েলের আশপাশেই বিমানবাহী রণতরি মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে হামাসের হামলার পর ইসরায়েলি বাহিনী টানা চতুর্থ রাতেও গাজা উপত্যকায় গুলিবর্ষণ অব্যাহত রেখেছে। এ পর্যন্ত অন্তত ৯৫০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ইসরায়েলি মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২০০ জনে।