অনলাইন ডেস্ক
সমকামীদের মধ্যে বিয়ের বৈধতা দিচ্ছে থাইল্যান্ড। আজ বুধবার দেশটির সংসদে সমকামী বিয়ের বিল পাস হয়। এর ফলে সমকামী বা এলজিবিটিকিউ বিয়েকে স্বীকৃতি দেওয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম দেশ হলো থাইল্যান্ড।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন অনুসারে, সংসদের নিম্নকক্ষে ৩৯৯ ভোটে এই বিল পাস করা হয়। তবে থাইল্যান্ডের রাজা অনুমোদন দেওয়ার আগে সিনেটে এই বিল অনুমোদন পেতে হবে। এরপরই এটি রয়্যাল গ্যাজেটে প্রকাশ করা হবে।
সংসদ কক্ষে এক প্রতিনিধি বিশাল এক রংধনু পতাকা নিয়ে আসেন।
এলজিবিটিকিউ+ অধিকারের জন্য চাপ দেওয়া প্রগতিশীল দল মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির সদস্য তুনিয়াওয়াজ কামলওংওয়াত এএফপিকে বলেন, ‘আজ সমাজ আমাদের প্রমাণ করেছে, তারা এলজিবিটি অধিকারের বিষয়ে যত্নশীল। অবশেষে আমরাও এখন অন্যদের সমান অধিকার পাব।’
এশিয়ায় শুধু তাইওয়ান ও নেপালে সমকামী বিয়েকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। গত অক্টোবরে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত সমকামী বিষয়ক সিদ্ধান্ত পার্লামেন্টে পাঠানোর নির্দেশ দেন। থাইল্যান্ডে এখন আন্তর্জাতিক এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের জন্য গ্রহণযোগ্যতা বাড়লেও কয়েক দশক ধরেই রক্ষণশীল মনোভাব এবং মূল্যবোধের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে যাচ্ছে থাই অধিকারকর্মীরা।
প্রস্তাবিত বিলে বিয়ের আইনে ‘পুরুষ’, ‘নারী’, ‘স্বামী’ ও ‘স্ত্রী’ এর বদলে লিঙ্গ নিরপেক্ষ শব্দ ব্যবহারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সমকামী দম্পতিরা প্রথমবারের মতো উত্তরাধিকার ও দত্তক নেওয়ার অধিকার উপভোগ করতে পারবেন।