অনলাইন ডেস্ক
ফিলিপাইনে শক্তিশালী টাইফুন নোরুর আঘাতে অন্তত ৫ উদ্ধারকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। টাইফুনের প্রভাবে দেখা দিয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। এ ছাড়া বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে কয়েক লাখ বাসিন্দা।
বিবিসির প্রতিবেদনে জানা যায়, রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) ফিলিপাইনের প্রধান দ্বীপ লুজনে আঘাত হানে টাইফুন নোরু। স্থানীয়ভাবে কার্ডিং নামে পরিচিত সুপার টাইফুনটি প্রথমে ঘণ্টায় ২৪০ কিলোমিটার গতিতে আঘাত হানে। পরে কিছুটা দুর্বল হয়ে রাত ৮টা ২০ মিনিটে দ্বিতীয়বার ভূমিতে আছড়ে পড়ে। সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ টাইফুনটি ফিলিপাইন অতিক্রম করবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এই বছর আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় নোরু।
টাইফুনের ফলে সৃষ্ট বন্যায় ডুবে গেছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে বেশ কিছু এলাকায়। বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছেন কয়েক লাখ বাসিন্দা। ঝড়ের কারণে ৭৪ হাজারের বেশি মানুষকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নেওয়া হয়েছে।
দেশটির বালকান এলাকার গভর্নর ড্যানিয়েল ফার্নান্দো জানান, স্যান মিগুয়েল শহরে উদ্ধারকাজ চালানোর সময় প্রাদেশিক দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৫ জন সদস্য বন্যার পানিতে ভেসে যান। এর আগে রাজধানী ম্যানিলার বিভিন্ন এলাকায় গুরুতর বন্যার সতর্কতা জারি করেন স্থানীয় কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস আজ সোমবার এক ব্রিফিংয়ে জানান, ‘আমার মনে হয় আমরা এবারের মতো বেঁচে গেছি। গত দুই দিনে আমরা যা করেছি তা থেকে এটা স্পষ্ট যে, আমাদের জন্য প্রস্তুতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
এদিকে ঝুঁকি বিবেচনায় বিমান এবং ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। লুজনে সরকারি সব কাজ স্থগিত করেছেন প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস। বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে স্কুল।