তালেবানের ১৯৯৬-২০০১ সালের শাসনামলে আফগানিস্তানে বলতে গেলে কোনো ধরনের নারী অধিকার ছিল না। ২০ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে তালেবান এবার অনেক বেশি বাস্তববাদী, যুক্তিশীল হবে বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু তাদের প্রতিটি পদক্ষেপে নারীদের প্রতি শুধু উপেক্ষায় পরিলক্ষিত হচ্ছে।
গত শুক্রবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এক বিবৃতিতে শনিবার থেকে মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা আসে। এতে শুধুমাত্র ছাত্র ও পুরুষ শিক্ষকদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। নারী শিক্ষক ও ছাত্রীদের বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে এ বিষয়ে শিগগির ঘোষণা আসবে বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন তালেবানের এক মুখপাত্র।
ইতিপূর্বে দেশটির প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা হয়েছে। এতে ছেলে-মেয়েরা এক সঙ্গে ক্লাস করতে পারছেন। নারী শিক্ষকেরাও ক্লাস নিচ্ছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ছেলে-মেয়েদের যৌথ শিক্ষায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পোশাকে দেওয়া হয়েছে কঠোর নিষেধাজ্ঞা।
গত শুক্রবার দেশটির নারী শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাইন বোর্ড বদলানো হয়ে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। সেখানে ‘প্রার্থনা, নির্দেশনা, ভালো কাজের আদেশ ও মন্দ কাজের নিষেধ’ নামের একটি সাইন বোর্ড লাগানো হয়েছে। অথচ গত দুই দশকে দেশটিতে হাজার হাজার নারী সমাজের মূল ধারায় এসেছিলেন। সরকারি-বেসরকারি অফিস ছিল নারীদের পদচারণায় মুখর। কিন্তু তালেবানের মধ্যবর্তী সরকারে তো কোনো নারী সদস্য নেই। নারী সাংবাদিকেরা দলে দলে চাকরি ছাড়ছেন। দেশটির আলোচিত নারী রোবটিক ও ফুটবল দলও দেশ ছেড়েছে।