শ্রীলঙ্কার বর্তমান পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়েছেন দেশটির নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট অনুড়া কুমারা দিশানায়েকে। মূলত একটি আগাম নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যেই এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার রাতে এ ঘোষণা দেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
অনুড়া কুমারা দিশানায়েকে গতকাল মঙ্গলবার ২২৫ আসনবিশিষ্ট লঙ্কান পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেন। এই পার্লামেন্টে অনুড়ার নিজের দল বামঘেঁষা ন্যাশনাল পিপলস পাওয়ারের (এনপিপি) মাত্র তিনটি আসন ছিল। নতুন সিদ্ধান্ত অনুসারে, আগামী ১৪ নভেম্বর পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যা নির্ধারিত সময়ের প্রায় ১ বছর আগে।
এর আগে, গত রোববার শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন অনুড়া দিশানায়েকে। এরপর গতকাল মঙ্গলবার তিনি হারিনি অমরাসুরিয়াকে তাঁর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে শ্রীলঙ্কার ইতিহাসে তৃতীয়বারের মতো কোনো নারী এই পদ অলংকৃত করতে যাচ্ছেন।
শ্রীলঙ্কার সর্বশেষ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২০ সালে। সেই নির্বাচনে অনুড়ার দল খুব একটা ভালো করতে পারেনি। তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পরপরই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তিনি শিগগির পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে পারে। এর আগে তিনি বলেছিলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁকে জনগণ যে ম্যান্ডেট দিয়েছে, তা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে এমন এক পার্লামেন্ট চালিয়ে নেওয়ার কোনো প্রয়োজনীয়তা নেই, যা জনগণের আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়।
দিশানায়েকে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দুর্নীতিবিরোধী ও দারিদ্র্য দূরীকরণ নীতির জন্য জনগণের মধ্য থেকে ক্রমবর্ধমান সমর্থন লাভ করেছে। ২০২২ সালে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সময় তিনি তৎকালীন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে তাঁকে দেশছাড়া করেছেন এবং এরপর দেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি জয়লাভ করেছেন।