অনলাইন ডেস্ক
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির আঘাত এবং এর ফলে সৃষ্ট প্রবল বর্ষণ, বন্যা ও ভূমিধসে ভিয়েতনামে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৪৩-এ দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া আরও ৫৮ জন নিখোঁজ আছে এখনো। আজ বুধবার দেশটির কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ভিয়েতনামের কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই ঘূর্ণিঝড়ে এরই মধ্যে ২ লাখ ১০ হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। এদিকে, ভূমিধসে এখনো যারা চাপা পড়ে আছে, তাদের এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কি না, জানা যায়নি স্পষ্টভাবে।
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ইয়াগি এরই মধ্যে শক্তি হারিয়েছে। তবে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকায় নাগরিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বৃষ্টিপাত না কমলে বন্যা-ভূমিধসের মতো দুর্ঘটনা আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তাঁরা। গতকাল দেশটির আবহাওয়া বিভাগের এক পূর্বাভাসে বলা হয়, ল্যাং সন, কাও বাং, ইয়েন বাই এবং থাই এনগিয়েন প্রদেশও বন্যার ঝুঁকিতে রয়েছে।
গত শনিবার দক্ষিণ চীন সাগরের একটি নিম্নচাপ থেকে উদ্ভূত ঘূর্ণিঝড় ইয়াগি প্রথমে আঘাত হানে ফিলিপাইনের লুজন দ্বীপে। সেখানে ১৩ জনের প্রাণ কেড়ে নিয়ে এটি চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ কো টু হয়ে ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলে আছড়ে পড়ে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যেসব এলাকার ওপর দিয়ে ইয়াগি বয়ে গেছে, সেসব এলাকায় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৪৯ কিলোমিটার (৯২ মাইল) অতিক্রম করেছিল।
প্রতিকূল আবহাওয়ায় বিদ্যুৎ-বিভ্রাটে বিপাকে পড়েছে ভিয়েতনামের উত্তরাঞ্চলীয় বিভিন্ন কারখানার কর্তৃপক্ষ। এই অঞ্চলে স্যামসাং ও ফক্সকনের মতো বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর কারখানা রয়েছে।