থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে অধিকাংশ সংসদ সদস্য ও সিনেটর পিটা লিমজারোয়েনরাতের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন বা ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছেন। এটি জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধাচরণ বলে বিবৃতি দিয়েছে দেশটির থাম্মাসাত ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্ট কাউন্সিল। ব্যাংকক পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবারের ভোটের নিন্দা জানিয়ে একটি বিবৃতি দিয়ে তারা বলেছে, সংসদ সদস্য ও সিনেটর যাঁরা জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন বা ভোট দেওয়া থেকে বিরত ছিলেন, তাঁরা নিন্দার পাত্র। থাইল্যান্ডের হাউস অভ রিপ্রেজেন্টেটিভস ও সিনেটের যৌথ বৈঠকে ভোটের পরে কাউন্সিলের স্থায়ী কমিটি এই নিন্দা জানায়।
মুভ ফরোয়ার্ড পার্টির (এমএফপি) নেতা পিটা লিমজারোয়েনরাত অর্ধেক সংসদ সদস্যের প্রয়োজনীয় অনুমোদন লাভ করতে না পারায় দেশের ৩০তম প্রধানমন্ত্রী হতে পারছেন না। তবে ১৪ মে সাধারণ নির্বাচনে এমএফপি ১৫১ হাউস আসন নিয়ে জয়লাভ করেছিল।
এদিকে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জিততে হলে পার্লামেন্টের দুই কক্ষে ৭৪৯ সদস্যের অর্ধেকেরও বেশি বা অন্তত ৩৭৫টি ভোট পেতে হবে। কিন্তু লিমজারাট এর থেকে ৫১টি ভোট কম পেয়েছেন।
বিস্ময়করভাবে ১৩ জন সিনেটর ছাড়া বাকি সবাই মুভ ফরওয়ার্ডের বিরোধিতা করেছেন। তাঁরা হয় ভোটদানে বিরত ছিলেন, অন্যথায় লিমজারাটের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। ভেতরে যখন ভোটদান অনুষ্ঠিত হচ্ছিল, লিমজারাটের সমর্থকেরা তখন বাইরে জয়োল্লাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু ফল ঘোষণার পর তাঁরা হতাশা প্রকাশ করে সংসদীয় সিনেটরদের প্রতি ঠাট্টা ও বিদ্রুপ প্রকাশ করেন।
প্রথম ভোটে ব্যর্থ হওয়ায় দেশটির লাখ লাখ তরুণ ভোটারের আশা ভেস্তে গেছে বলে মনে হচ্ছে। মুভ ফরোয়ার্ডের এক সমর্থক এমন হতাশার অভিব্যক্তি প্রকাশ করে বলেছেন, ‘কেন আমি আর ভোট দিতে আসব! কারণ আমার ভোটের আর কোনো গুরুত্ব নেই।’