থাইল্যান্ডে একটি স্কুলবাসে হঠাৎ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২০ জন শিক্ষার্থী এবং ৩ শিক্ষকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ব্যাংকক পোস্ট। নিহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৪ জনই প্রাইমারি স্কুলে পড়ত। বাকি ছয়জন হাইস্কুলে।
আজ মঙ্গলবার রাতে ব্যাংকক পোস্টের অনলাইন সংস্করণে জানা গেছে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আরও ২ শিক্ষার্থীর ভাগ্যে কী ঘটেছে তা এখনো অজানা। তবে আহত অবস্থায় ১৬ শিক্ষার্থী এবং আরও ৩ শিক্ষককে চিকিৎসার জন্য কাছাকাছি একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
পরিবহন মন্ত্রী সুরিয়া জুয়াংরুংরুংকিত জানিয়েছেন, প্রাইমারি ও হাইস্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে থাইল্যান্ডের পথুম থানি অঞ্চলে একটি স্কুল ফিল্ড ট্রিপে ছিল ওই বাসটি। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
আহতদের মধ্যে মারাত্মকভাবে পুড়ে যাওয়া অবস্থায় তিন শিক্ষার্থীকে পাটরংসিট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজনের অবস্থা এতটাই মারাত্মক যে তাদের ভেন্টিলেটরে রাখতে হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে দেশটির পুলিশ প্রধান জানিয়েছিলেন, দুর্ঘটনার পর বাস ছেড়ে পালিয়ে গেছেন চালক। তিনি মোবাইল ফোনও বন্ধ রেখেছিলেন। পরে জানা যায়, অ্যাং থং এলাকায় গিয়ে ওই চালক পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। এখন তাঁকে পথুম থানির একটি থানায় রাখা হয়েছে।
উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, বাসে থাকা কিন্ডারগার্টেনের ছয় শিক্ষার্থী বেঁচে গেছে। বাসটিতে প্রাইমারি ও হাইস্কুল মিলিয়ে ৩৮ জন শিক্ষার্থী ছিল। আর ছিলেন ছয় শিক্ষক।
বাসে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছিল পুলিশ। ছুটে যান যায় উদ্ধারকর্মীরাও। তাঁরা জানিয়েছেন, বাসটির সামনের দিকের বাঁ দিকের টায়ার ফেটে চাকায় আগুন ধরে যায়। এ অবস্থায় চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেললে আগুন দ্রুত গাড়ির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে।
স্কুল কর্তৃপক্ষ একটি ফেসবুক বার্তায় ট্রিপে থাকা সব ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকদের স্কুলে একত্রিত হতে বলেছে।
মর্মান্তিক এই ঘটনায় থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী পেতোংতার্ন সিনাওয়াত্রা কেঁদেছেন বলে জানিয়েছে ব্যাংকক পোস্ট। তিনি হতাহতদের পরিবারের প্রতি শোক বার্তা পাঠিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন—সরকার আহতদের চিকিৎসা খরচ বহন করবে এবং ক্ষতিগ্রস্ত ও শোকাহত পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা দেবে।
পরে প্যাটরংসিট হাসপাতালে পরিদর্শন করেন থাই প্রধানমন্ত্রী পেতোংতার্ন সিনাওয়াত্রা।