তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই দেশত্যাগ করতে কাবুল বিমানবন্দরে ভিড় করতে থাকে আফগান নাগরিকরা। নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে নিরাপদে দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন দেশ। সবকিছু মিলিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে কাবুল বিমানবন্দর।
সময় যত গড়াচ্ছে কাবুল বিমানবন্দর নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বাড়ছে। কাবুল বিমানবন্দরে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় সতর্কতা জারি করেছে বিভিন্ন দেশ। কাবুল বিমানবন্দরে আইএসের হামলার আশঙ্কা করছে তালেবানও। তবে তালেবান কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে নাগরিকদের সুরক্ষা দিতে কাজ করে যাচ্ছে বলে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তালেবানের এক সদস্য বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, আমাদের (তালেবান) নিরাপত্তাকর্মীরাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাবুল বিমানবন্দরে দায়িত্ব পালন করছে। তারাও ইসলামিক স্টেট (আইএস) গ্রুপের হুমকির মুখে রয়েছে।
এখনো আফগানিস্তান ছাড়তে কাবুল বিমানবন্দরে ১০ হাজারের বেশি মানুষ অপেক্ষা করছে বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন মার্কিন সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল উইলিয়াম টেইলর। অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য নাগরিকদের জন্য সতর্কতা জারি করেছে। যারা কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে অবস্থান করছে তাঁদের দ্রুত এলাকা ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) জো বাইডেন বলেন, ‘যত দ্রুত আফগানিস্তান ত্যাগ করা যায় ততই ভালো। কেননা কাবুল বিমানবন্দরে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলার আশঙ্কা বাড়ছে।’
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কাবুল থেকে প্রায় ১৯ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছে পেন্টাগন। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকে এ পর্যন্ত ৮২ হাজারের বেশি মানুষকে কাবুল বিমানবন্দর দিয়ে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।