অনলাইন ডেস্ক
পরিশোধিত তেজস্ক্রিয় পানি সমুদ্রে ছাড়ায় জাপানের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো চীন থেকে হাজার হাজার হয়রানিমূলক ফোনকল পাওয়া শুরু করেছে। ২৪ আগস্ট থেকে জাপান ফুকুশিমা পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্রের ১০ লাখ টন পরিশোধিত তেজস্ক্রিয় পানি সমুদ্রে নিষ্কাশন শুরু করেছে।
এ নিয়ে জাপানের বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান হয়রানিমূলক ফোনকল পাওয়া শুরু করেছে। একটি রেস্টুরেন্ট চেইনই পেয়েছে হাজারের বেশি ফোনকল।
পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফোনকলগুলো যেসব নম্বর থেকে এসেছে, সেগুলোতে চীনা ডায়ালিং কোড রয়েছে। বিবিসির এক প্রতিবেদন অনুসারে, জাপান এ নিয়ে চীনা সরকারের কাছে অভিযোগ দিয়েছে।
জাপান কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুসারে, হয়রানিমূলক এই ফোনকল আসা শুরু হয় ফুকুশিমার পানি প্রশান্ত মহাসাগরে ছাড়ার পর থেকে। কলাররা সাধারণত চীনা, ইংরেজি ও জাপানি ভাষায় কথা বলেছেন। তাঁরা জাপানের পরিশোধিত তেজস্ক্রিয় পানি সমুদ্রে ছাড়ার তীব্র বিরোধিতা করেছেন।
প্রশান্ত মহাসাগরে পারমাণবিক কেন্দ্রের বর্জ্যপানি ছাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার চীন জাপানের সি ফুডের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, টোকিও বারবার বলছে, ফুকুশিমা পারমাণবিক শক্তি কেন্দ্রের আশপাশের সমুদ্রের পানিতে শনাক্ত করার মতো কোনো তেজস্ক্রিয়তা নেই।
চীনা কাস্টম কর্মকর্তাদের মতে, রপ্তানিকৃত জাপানের খাবার ও কৃষিপণ্যে ক্ষতিকর মাত্রায় তেজস্ক্রিয় দূষণের বিষয়ে গভীর উদ্বেগ রয়েছে।
দেশে-বিদেশ থেকে আপত্তি জানানো হলেও বৃহস্পতিবার থেকে জাপান টোকিওর উত্তরের বিদ্যুৎকেন্দ্রটি থেকে পানি নিষ্কাশন শুরু করেছে। মৎস্যশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ও অন্যরা জাপানের এ সিদ্ধান্তে পরিবেশের ওপর বিরূপ প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন।