অনলাইন ডেস্ক
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন তাঁর দেশের সামরিক, যুদ্ধাস্ত্র ও পারমাণবিক অস্ত্রের বিভাগকে যুদ্ধের প্রস্তুতি ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এই পদক্ষেপকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ‘নজিরবিহীন সংঘাতমূলক পদক্ষেপের পাল্টা ব্যবস্থা’ হিসেবেই অভিহিত করেছেন বলে আজ বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ জানিয়েছে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ খবর বলা হয়। গতকাল বুধবার দেশটির ক্ষমতাসীন দলের এক বৈঠকে নতুন বছরের জন্য নির্দেশনার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে কিম এই নির্দেশ দেন। তিনি আরও বলেন, ‘সাম্রাজ্যবাদবিরোধী স্বাধীন’ দেশগুলোর সঙ্গে কৌশলগত সহযোগিতা প্রসারিত করবে পিয়ংইয়ং।
কেসিএনএ বলে, কিম জং উন যুদ্ধের প্রস্তুতিকে আরও ত্বরান্বিত করার জন্য পিপলস আর্মি ও যুদ্ধাস্ত্র, পারমাণবিক অস্ত্র ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা খাতের জন্য সামরিক দায়িত্ব নির্ধারণ করেছেন। বৈঠকে কিম নতুন বছরের জন্য অর্থনৈতিক লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। দেশের পঞ্চবার্ষিক উন্নয়ন পরিকল্পনা সম্পন্ন করার জন্য ২০২৪-কে ‘নির্ধারক বছর’ বলেও অভিহিত করেছেন তিনি।
নতুন বছরে প্রধান প্রধান শিল্প খাতের গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোতে গতি আনার কথা বলেন কিম। এ ছাড়া কৃষি উৎপাদন যেন উঁচু স্তরেই স্থিতিশীলতা লাভ করতে পারে, সে আহ্বানও জানান তিনি।
রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক বাড়িয়েছে উত্তর কোরিয়া। পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য মস্কোকে সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ করার অভিযোগ এনেছে ওয়াশিংটন। অন্যদিকে, উত্তর কোরিয়ার সামরিক সক্ষমতা এগিয়ে নিতে সহায়তা করার জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করে রাশিয়া।
প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে ১৯৯০-এর দশকে দুর্ভিক্ষসহ সাম্প্রতিক দশকগুলোতেও গুরুতর খাদ্যসংকট দেখা দিয়েছে উত্তর কোরিয়ায়। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, করোনা মহামারির সময় সীমান্ত বন্ধের সিদ্ধান্ত দেশটির খাদ্য নিরাপত্তাকে আরও বেগতিক করেছিল।
অনুকূল আবহাওয়ার কারণে ২০২৩ সালে উত্তর কোরিয়ার ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অনুমান করা হয়েছিল। তবে সিউলের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, পরিমাণটি এখনো দেশের দীর্ঘস্থায়ী খাদ্যঘাটতি মেটানোর জন্য যা প্রয়োজন তার চেয়ে অনেক কম।