হোম > বিশ্ব > এশিয়া

মিয়ানমারে জান্তার বড় ঘাঁটি দখলের দাবি আরাকান আর্মির

অনলাইন ডেস্ক

১০ দিনের তীব্র লড়াইয়ের পর গত মঙ্গলবার মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মিনবিয়া শহরে অবস্থিত সামরিক জান্তার নবম সেন্ট্রাল মিলিটারি ট্রেনিং স্কুলের ঘাঁটির সম্পূর্ণ দখলের দাবি করেছে জাতিগত সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ)। মিয়ানমারের গণমাধ্যম দ্য ইরাবতী এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

আরাকান (ইয়োমা) পর্বতমালার পাদদেশে অবস্থিত ট্রেনিং স্কুলটি ছিল মিনবিয়া শহরে জান্তার সর্বশেষ প্রধান ঘাঁটি। জান্তার প্রায় এক ডজনেরও বেশি সামরিক ফাঁড়ি দ্বারা বেষ্টিত ও সুরক্ষিত ছিল এ ঘাঁটি। ট্রেনিং স্কুলে স্থাপিত জান্তার এই বড় ঘাঁটির আশপাশে ১৭ ফেব্রুয়ারি আক্রমণ শুরু করে এএ। একের পর এক কামান এবং বিমান হামলা সত্ত্বেও গত সোমবার পুরো ঘাঁটির দখল নেয় এই বিদ্রোহী গোষ্ঠী।

এএ বলেছে, তারা জান্তা বাহিনীর বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে। জান্তা সৈন্যদের অসংখ্য লাশও রয়েছে সেখানে। এক বিবৃতিতে এএ বলেছে, ১০ দিনের যুদ্ধে তারাও বেশ কয়েকজন সেনা হারিয়েছে।

শহরের বাইরে অবস্থিত লাইট ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়ন ৩৮০, ৩৭৯ ও ৫৪১-এর তিনটি জান্তা ঘাঁটি দখল করার পর এএ মিনবিয়া শহরের নিয়ন্ত্রণও নিয়েছে।

মিনবিয়াতে শেষ ঘাঁটি হারানোর পর জান্তা সরকার মঙ্গলবার মিন ফু গ্রামের একটি সরকারি হাসপাতালে বোমা হামলার জন্য যুদ্ধবিমান ব্যবহার করেছে। বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে পরিচালিত হামলায় বেশ কয়েকজন রোগী ও হাসপাতালের কর্মচারী আহত হয়েছেন। ভবনগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে।

এএ বলেছে, বিমান হামলার সময় হাসপাতালটিতে বন্দী জান্তা সৈন্য এবং তাঁদের পরিবারের সদস্যসহ অন্য রোগীদের চিকিৎসা চলছিল।

এএ এবং স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, একই দিনে জান্তার একটি যুদ্ধবিমান থেকে মিনবিয়ার থাই কান গ্রাম এবং একটি নিকটবর্তী স্কুলে হামলা হয়েছিল। সেই স্কুলটিতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল বাস্তুচ্যুত লোকদের। এই হামলায় আহত হয়েছে অন্তত ২৫ জন বেসামরিক মানুষ। হামলায় স্কুল ভবন, বাড়িঘর ও যানবাহন ধ্বংস হয়েছে।

সামরিক ঘাঁটি হারানোর প্রতিশোধ হিসেবে বেসামরিক লক্ষ্যবস্তু, যেমন—স্কুল ও হাসপাতালের ওপর হামলার মাধ্যমে জান্তা সরকার যুদ্ধাপরাধ করছে বলে অভিযোগ করেছে আরাকান আর্মি।

রাখাইন রাজ্যের অবশিষ্ট জান্তা ঘাঁটি রাথেদাউং, বুথিদাউং এবং মংডু টাউনশিপের পাশাপাশি রাজ্যের রাজধানী সিত্তাওয়ের কাছে পোন্নাগিউন শহরের শেষ ব্যাটালিয়নেও আক্রমণ করছে এই জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠী।

এএ বাহিনী রাজধানীর দিকে অগ্রসর হওয়ায় অধিকাংশ বাসিন্দা এবং জান্তা প্রশাসক সিত্তাওয়ে থেকে পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। গত বছরের ১৩ নভেম্বর প্রতিবেশী দক্ষিণ চিন রাজ্যের রাখাইন এবং পালেতওয়া টাউনশিপে আক্রমণ শুরু করার পর থেকে ১৭০টিরও বেশি জান্তা ঘাঁটি এবং ৯টি শহর দখল করেছে আরাকান আর্মি।

দীর্ঘজীবনের গোপন রহস্য জানালেন ১২৪ বছর বয়সী চীনা নারী

মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে অস্ত্র পাচারের চেষ্টা, মিজোরামে আটক ৫

২০২৪ সালে জাপান ভ্রমণ করেছে রেকর্ড ৩ কোটি ৭০ লাখ পর্যটক

অবশেষে গ্রেপ্তার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট

রাশিয়ায় উ. কোরীয় সেনাদের ‘অবমূল্যায়নের সুযোগ নেই’

ভেসে আসছে রহস্যময় বল, সিডনির ৯ সৈকত বন্ধ

‘মৃত্যুর পর কী হয়’, আত্মহত্যার আগে গুগলে সার্চ করেছিল কিশোর

ইসলাম অবমাননার অভিযোগে শ্রীলঙ্কায় বৌদ্ধ ভিক্ষুর ৯ মাসের কারাদণ্ড

তালেবানকে বৈধতা না দিতে মুসলিম নেতাদের প্রতি মালালার আহ্বান

১০০ বছর আগে নারীঘটিত যে খুন কাঁপিয়ে দিয়েছিল ব্রিটিশ ভারতের রাজনীতি

সেকশন